কেমন আছো সবাই?
যারা বিজ্ঞান বিভাগের উত্তর খুঁজতেছেন তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট, এখানে আপনি খুব সহজেই উত্তর গুলো সংগ্রহ করে অ্যাসাইনমেন্ট সব সম্পূর্ণ করতে পারবেন আমরা খুব সুন্দর ভাবে অষ্টম শ্রেণির বিজ্ঞান বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্টের উত্তর তুলে ধরেছি । স্কুল শিক্ষক মূল্যায়ন করে দেখবেন যার অ্যাসাইনমেন্ট যত ভালো হবে সে ততো ভালো মার্ক পাবে।
আপনি যদি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের পোস্টটি ভাল ভাবে পড়বেন ।
প্রশ্নঃ(ক) আইসোটোপ কাকে বলে?
উত্তরঃ কোন মৌলের একাধিক পরমাণু যাদের পারমাণবিক সংখ্যা একই কিন্তু ভর সংখ্যা ভিন্ন,তাদেরকে পরস্পরের আইসোটোপ বা সমস্থানিক বলে।
প্রশ্নঃ (খ) পারমাণবিক সংখ্যা বলতে কি বুঝ ?
উত্তরঃ পারমাণবিক সংখ্যা হলো কোনো মৌলের পরমানুতে অবস্থিত প্রোটনের সংখ্যা । পারমানবিক সংখ্যা একটি উপাদানের প্রোটনের সমান হয় । পারমাণবিক সংখ্যা একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে প্রোটন সংখ্যার সমান।একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রোটন থাকার ফলে এটি পরমাণু তৈরি করে ।
সুতরাং, পারমাণবিক সংখ্যা বলতে একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে উপস্থিত প্রোটনের সংখ্যা বোঝায়।সুতরাং, প্রতিটি উপাদানের নিজিস্ব পারমাণবিক সংখ্যা রয়েছে । একটি পরমাণুর পারমাণবিক সংখ্যা পরিবর্তন করা যায় না কারন এটি একটি পরমাণুর বৈশিষ্ট্য ।
প্রশ্নঃ(গ)উদ্দীপকের ছকে উল্লেখিত Z মৌলের ১টি পরমাণুতে বিদ্যমান নিউট্রন সংখ্যা নির্ণয় কর ?
উত্তরঃউদ্দীপকে উল্লেখিত Z মৌলের ভরসংখ্যা A=14 পারমাণবিক সংখ্যা Z=6 কোনো মৌলের পরমানুতে যদি P -সংখ্যক প্রোটন এবং N -সংখ্যক নিউট্রন থাকে,
তাহলে
পরমাণুটির ভরসংখ্যা (A)=প্রোটন -সংখ্যা (P)+নিউট্রন- সংখ্যা
আমরা জানি,
প্রোটন -সংখ্যা (P)+পারমাণবিক -সংখ্যা(Z)
অতএব,
ভরসংখ্যা(A)=পারমাণবিক -সংখ্যা (Z)+নিউট্রন -সংখ্যা
বা,14=6+নিউট্রন -সংখ্যা
বা,নিউট্রন- সংখ্যা(N)=14—6
বা,নিউট্রন-সংখ্যা (N)=8 (Ans)
অথাৎ এটি হচ্ছে কার্বন।
প্রশ্নঃ(ঘ) উদ্দীপকের ছকে উল্লেখিত XওY মৌলদুটির পরমানুসমুহের মধ্যে যোগ সম্ভব-যুক্তিসহ বিশ্লেষণ কর?
উত্তরঃ উদ্দীপকে X ও Y এর পারমানবিক সংখ্যা ও ভর সংখ্যা থেকে পাওয়া মৌল হচ্ছে সোডিয়াম Na ও ক্লোরিন (C1) পরমানু পরস্পরের সংস্পর্শে এলে, সোডিয়াম পরমানু একটি ইলেকট্রন বর্জন করে ক্যাটায়নে (Na) পরিণত হয়,আর ক্লোরিন পরমানু ঐ ইলেকট্রন গ্রহণ করে আয়নে (C1–) রুপান্তরিত হয়।
যেমন নিম্নরুপঃ
Na-e–=Na+
C1+e–=C1–
এই আয়নে ১ঃ১আনুপাতে পরস্পর আকৃষ্ট হয়ে সোডিয়াম ক্লোরাইড (NaCl) গঠন করে।
Na+Cl→Na+ +Cl–→Nacl
বন্ধন গঠন কৌশলঃসাধারণভাবে ধাতু অধাতুর মধ্যে রাসায়নিক বন্ধন গঠিত হয়।কারন এসব মৌলের পরমাণু গুলো নিষ্ক্রিয় নয়।এরা সক্রিয়। নিষ্ক্রিয় গ্যাস,হিলিয়াম,নিয়ন আর্গন ইত্যাদি কেবল কোন বন্ধন গঠন করে না। নিয়ন আর্গনেের ইলেকট্রন বিন্যাসে শেষ কক্ষপথ ৮টি ইলেকট্রনে পূর্ণ, ৮টি ইলেকট্রন থাকলে পরমানুটি আর ইলেকট্রন গ্রহন বা ত্যাগ করেনা।একে অষ্টক তত্ত্ব বলে।
আমরা জানি, সোডিয়ামের ইলেকট্রন সংখ্যা 11 এবং ক্লোরিনের ইলেকট্রন সংখ্যা 17।
সোডিয়াম মৌলের শেষ কক্ষপথে ১টি ইলেকট্রন এবং ক্লোরিন মৌলের শেষ কক্ষপথে ৭টি ইলেকট্রন রয়েছে।
প্রত্যেকটা পরমাণুই চায় তার শেষ কক্ষপথের ইলেকট্রন অষ্টক পূর্ণ হোক বা নিষ্ক্রিয় গ্যাসের কাঠামো অর্জন করুক।
তাই, সোডিয়াম তার শেষ কক্ষপথের ইলেকট্রনটি ছেড়ে দিয়ে অষ্টক পূর্ণ হয় এবং ক্লোরিন সেই ইলেকট্রনটি গ্রহণ করে আর্গনের কাঠামো অর্জন করে।
উপরোক্ত আলোচনা থেকে বলা যায়, X ও Y মৌল দুটির পরমাণুসমূহের মধ্যে আয়নিক যৌগ গঠন সম্ভব।
অর্থাৎ, সোডিয়াম ও ক্লোরিন এর সমন্বয়ে সোডিয়াম ক্লোরাইড(NaCl) গঠন সম্ভব। এটি খাবার লবণের সংকেত।
Share this post with your Friends & Family Members
Like this:
Like Loading...
Related
Thanks
wellcome