শিক্ষা ও জীবন

সুন্দর একটা ঘুম দিবেন কিভাবে ?

সুন্দর একটা ঘুম দিবেন কিভাবে ?

আধুনিক পর্যায় সারণী পর্যায় সারণি মনে রাখার সহজ উপায় |

ভিন্ন বয়সের মানুষের জন্য ঘুমের একেক সময় । বৃদ্ধ এবং শিশুদের একই পরিমাণ ঘুমের প্রয়োজন হয়। একটি শিশু জন্মের পর থেকে প্রতিদিন প্রায় 10 থেকে 14 ঘন্টা ঘুমায়। একজন সুস্থ মানুষ 6 থেকে 8 ঘন্টা ঘুমালে যথেষ্ট। যারা অসুস্থ এবং দুর্বল তাদের জন্য 8 থেকে 10 ঘণ্টা ঘুম দরকার।

বয়স ভিত্তিক ঘুমের সময়ঃ

নাম                  ⇔   বয়স   ⇔   ঘুমের সময়
শিশু                 ⇔     ০-৮  ⇔   ১০-১৪ঘন্টা
কিশোর/ যুবক⇔   ৯- ৩৫ ⇔ ৬- ০৮ ঘন্টা
বৃদ্ধ                   ⇔   ৪০- — ⇔ ০৮- ১২ ঘন্টা

প্রত্যেক টা সুস্থ মানুষের 6 থেকে 8 ঘণ্টা ঘুম অবশ্যই দরকার। বিছানায় শুয়ে থাকলে হবে না। ঘুমটা অবশ্যই গভীরভাবে হতে হবে।

ঘুমানোর আগে কি খাচ্ছেন?

খাওয়ার অভ্যাস এর উপর ঘুমের অভ্যাস অনেকটাই নির্ভর করে। আপনি যদি ক্যাফিনযুক্ত খাবার খান তাহলে আপনার ভালোভাবে ঘুম হবে না। অর্থাৎ আপনি যদি ঘুমানোর আগে চা পান করলে তা হলে সে রকমভাবে ঘুমাতে পারবেন না অথবা আপনার ঘুম আসবে না।

যে সকল খাবার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় তা হল:

• চিনি যুক্ত খাবার
• চা
• কপি
• বিভিন্ন কোলড্রিংস ইত্যাদি।
অবশ্যই খেয়াল রাখবেন, ঘুমানোর 4 থেকে 5 ঘন্টা আগে এই ধরনের খাবার খাবেন না। এতে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটবে।

ঘুমানোর সময় কোনো কিছু খাওয়া দাওয়া করা ঠিক না । অনেকেই খালি পেটে ঘুমাতে পারেন না। তবে ঘুমানোর আগে পেট ভরে খাওয়া ঠিক না , এতে ঘুমের ব্যাঘাত হতে পারে।

অ্যালকোহল বা মদ্যপান করে অনেকেই ঘুমানোর চেষ্টা করেন। এভাবে হয়তো ঘুমানোর যা হয় কিন্তু গভীর ভাবে ঘুমাতে পারবেন না। অর্থাৎ আপনার যে মূল উদ্দেশ্য ছিল ৮ ঘণ্টার ঘুম আপনি ৪ ঘন্টায় মেটাবেন, তা সম্ভব হবে না।

এ ছাড়াও মদ্যপানের ফলে বেশি প্রস্রাব হয়। তাই রাতে টয়লেটে যাওয়ার জন্য আপনার ঘুম ভেঙে যাবে।

এই ধরনের বৃথা চেষ্টা থেকে নিজেকে দূরে রাখুন।

ঘুমের আগে নিজের শরীর এবং মনকে শান্ত রাখুন

যখন আপনার শরীর এবং মন যখনই রিলাক্স থাকবে তখনই আপনি সুন্দর ঘুম দিতে পারবেন। ঘুমানোর আগে প্রতিদিন এমন কিছু করুন যেন আপনার শরীর বুঝতে পারে আপনার ঘুমানোর সময় হয়েছে।

ঘুমানোর আগে যে কাজগুলো করতে পারেন তা হল:

বই পড়া।
ডায়েরি লেখা।
ইয়োগা করা
ঘরের আলো কমিয়ে দিয়ে মৃদুভাবে গান শোনা ।
গরম পানি দিয়ে গোসল করা।
জীবন সঙ্গীর সাথে কথা বলা ইত্যাদি।

দেখা গেছে, মানুষ যখন বই নিয়ে পড়তে বসে তখন তার ঘুম পায়। সেই ক্ষেত্রে মানুষ যদি তখন ঘুমায় তাহলে তার গভীর ঘুম হয়। এই পদ্ধতি টি আপনি চেষ্টা করে দেখতে পারেন।

এক ধরনের ব্যায়াম ইয়োগা । বড় বড় ডাক্তার তাদের রোগীদের মন এবং শরীর সুস্থ রাখার জন্য ইয়োগা ব্যায়াম করতে বলে। ইয়োগা করলে মন এবং শরীর দুটোই সুস্থ থাকবে। এই ব্যায়াম ঘুমানোর ক্ষেত্রেও অনেক কাজে লাগে। প্রতিদিন ঘুমানোর আগে 10 থেকে 15 মিনিট জিওগ্রাফি করলে আপনার গভীরভাবে একটি ক্রোম সম্পূর্ণ হবে। তখন মাত্র চার ঘণ্টা ঘুমিয়ে আট ঘণ্টা ঘুমানোর কাজ হয়ে যাবে।

বিজ্ঞান এর গবেষেকরা মানুষের শরীরকে বায়োমেট্রিক হরি সাথে তুলনা করেছেন । আপনার শরীরকে নিয়মিত যেভাবে চালানোর শিক্ষা দিবেন ,আপনার শরীর সে ভাবে চলবে।

বিজ্ঞান এর গবেষেকের এই আবিষ্কার কি যদি পরীক্ষা করতে চান তাহলে পরীক্ষা করতে পারবেন।

প্রতিদিন একই সময় আপনি টয়লেটে যাবেন এবং প্রস্রাব পায়খানা করবেন। এভাবে টানা সাতদিন চলার পরে দেখবেন এরপর থেকে প্রতিদিনই একই সময় আপনার প্রস্রাব এবং পায়খানা জন্য চাপ দিচ্ছে।

তাই ঘুমানোর আগে আপনি যদি নিয়মিত কোন কাজ করেন তাহলে আপনার শরীর বুঝে যাবে যে এই কাজটা আপনি ঘুমানোর জন্য করছেন। তখন আপনি ঘুমাতে পারবেন।

আপনি চাইলে এইভাবে ঘুমালেই 1/2 কম মাত্র 4 ঘন্টায় মেটাতে পারবেন।

নিজেকে চিন্তা মুক্ত রাখুন?

চিন্তা আপনাকে কোন কাজই সঠিকভাবে করতে দিবেনা। অবশ্যই আপনাকে ঘুমাতেও দেবে না। হাই স্কু বানর আগে সারাদিনের যত কাজ আছে সেগুলো শেষ করুন। চিন্তাহীনভাবে ঘুমাতে যান।

অন্যান্য বিষয়ে মজার মজার টেকনিক শিখতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে।

Back to top button