নবম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ – ৬ষ্ঠ সপ্তাহের। আপনারা যারা নবম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্ট সমাধান খুঁজছেন। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট এ নবম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্ট প্রশ্ন সমাধান ৬ষ্ঠ সপ্তাহ ২০২১ তুলে ধরা হয়েছে। আপনারা এখান থেকে নবম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সমাধান ৬ষ্ঠ সপ্তাহ দেখতে পারবেন। তাই পোস্ট টি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এখান থেকে নবম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের সমাধান পেয়ে যাবেন।
আমরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে নবম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অ্যাসাইনমেন্ট সংগ্রহ করে নিচে সমাধান সহ তুলে ধরেছি । নবম শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সমাধান ৬ষ্ঠ সপ্তাহ ২০২১ পেতে এই পোস্টটি অনুসরণ করুন নবম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্ট প্রশ্ন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষার অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছ। ৯ম শ্রেণিসহ সকল শ্রেনির সকল বিষয়ের এসাইনমেন্ট পেতে এই সাইটের সাথে থাকুন। নবম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এসাইনমেন্ট এর উত্তর দেখুন। নবম শ্রেণির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রশ্ন উত্তর সবাইকে পেতে হেল্প করুন।
প্রশ্ন:
সমাধানঃ
তারিখ : ৩০ মার্চ, ২০২১
বরাবর,
প্রধান শিক্ষক
’ক‘ উচ্চ বিদ্যালয়
কুমিল্লা।
বিষয় : বর্তমানে কোভিড-১৯ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার ই লার্নিং এর ভূমিকা সম্পর্কিত প্রতিবেদন।
স্মারক নং : কু.উ.বি.২০২১-৩ তারিখ : ২৮ মার্চ, ২০২১।
জনাব,
বিনীত নিবেদন এই যে, আপনার আদেশ নং কু.উ.বি.২০২১-৩ তারিখ : ২৮ মার্চ, ২০২১ অনুসারে “বর্তমানে কোভিড-১৯ উদ্ভুত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার ই লার্নিং এর ভূমিকা সম্পর্কিত শীর্ষক প্রতিবেদনটি নিম্নে পেশ করছি।
বর্তমান আধুনিক বিশ্বায়নের যুগে তথ্যপ্রযুক্তি ভুমিকা অনস্বীকার্য। বর্তমান বিশ্বের দিকে তাকালেই বুঝতে পারা যায় যে আধুনিক তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি কতটা গভীরভাবে জড়িয়ে আছে। আমরা আজকেরে যে সভ্যতা সামনে দাড়িয়ে আছি তার অনেকটাই সার্থক হয়েছে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির উন্নয়নের ফলে। বর্তমান সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তির ব্যবহার এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও এর ছোয়া লেগেছে। যােগাযােগের আধুনিকায়ন এবং ইন্টারনেটের বদৌলতে শুরু হয়েছে ই-লার্নিং।
ই-লার্নিং হল ইলেকট্রনিক লার্নিং অর্থাৎ ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিংবা ব্যক্তিগত নেটওয়ার্ক, টেলিভিশন সিডিরম, রেডিও, ভিডিও ইত্যাদির মাধ্যমে শিক্ষা প্রদান করাই হল ই-লার্নিং। ই-লার্নিং হলাে একটি আধুনিক পদ্ধতিতে পাঠদানের প্রক্রিয়া।
ই- লার্নিং এর সুবিধাসমুহ
বর্তমান প্রযুক্তির বদৌলতে প্রতিটি ক্ষেত্রেই তথ্য ও যােগাযােগ ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর মূল কারণ হলাে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধা। নিচে তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির আলােকে ই-লার্নিং এর সুবিধাসমূহ তুলে ধরা হল:
১. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিদ্যমান বৈষম্য কমিয়ে আনা সম্ভব।
২. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে নতুন নতুন স্কুল তৈরি না করে অনেক ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষাদান করা সম্ভব।
৩. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে প্রতিটা ছাত্র-ছাত্রী তাদের নিজেদের সুবিধা মতাে পড়াশুনা করতে পারবে। যে বিষয়ে দুর্বল সে বিষয়ে শিক্ষকের কাছে থেকে অনলাইনে টিউশন নিতে পারবে এবং সেটাও অনেক কম খরচে।
৪. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে বিশ্বের গুরুত্বপুর্ণ আপডেট সম্পর্কে সহজেই ধারণা পাওয়া যায়।
৫. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে একই সাথে একাধিক কর্মকাণ্ড যুক্ত হওয়া সম্ভব। তাই ই-লার্নিং অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ণএকটি মাধ্যম।
ই- লার্নিং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমুহ
উন্নত দেশগুলােতে ই-লার্নিং এর বান্তবায়ন বেশি লক্ষ্য করা গেলেও সে অনুপাতে আমারদের দেশে ততােটা ই-লার্নিং এর বান্তবায়ন হয় নি। যদিও সরকারি ও বেসরকারি উভয় দিক থেকে ইটা নিয়ে কাজ চলছে। বাংলাদেশে এখন ই-লানিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে শিক্ষক ডটকম, জাগাে অনলাইন স্কুল, ব্র্যাক, ইস্টওয়েস্ট এবং এশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়সহ বহু প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ই-লার্নিং বান্তবায়ন অনেকটা কঠিন এবং চ্যালেঞ্জও বটে। কারণ:
১. ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযােগ সর্বস্তরে নিশ্চিত করা অনেকটা কঠিন। প্রযুক্তির ছোয়া সবখানে লাগলেও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযােগ সবার হাতে এসে পৌঁছায় নি। তাই সবার আগে সর্বস্তরে ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযােগ নিশ্চিত করতে হবে।
২. ইন্টারনেট ব্যবহারের সহজলােভ্যতা নিশ্চত করা। যেখানে বিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারের ব্যায় তুলনামুলকভাবে কম এবং ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযােগ রয়েছে সেখানে আমাদের দেশে এর ব্যায় অনেকটাই বেশি।
৩. অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলােকে আধুনিকায়ন করা সবক্ষেত্রে সম্ভবপর নাও হতে পারে। কারণ এর জন্য প্রয়ােজন অবকাঠামােগত উন্নয়ন।
ই- লার্নিং এর মাধ্যমে কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জন।
আধুনিক প্রযুক্তি যে শুধু জীবন যাত্রার মানকেই উন্নত করছে তা কিন্তু নয়, সেই সাথে মানুষের দক্ষতাকেও উন্নত করছে। যেমন:
১. ই-লার্নিং এর মাধ্যমে যে কেউ খুব কম সময়ে তথ্য ও প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষতা অর্জন করতে পারে।
২. খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসে অংশ নিয়ে নিজের পছন্দের বিষয়ের উপর দক্ষতা অর্জন করা যায়।
৩. নিজের সীমিত জ্ঞানের পরিধিকে ই-লার্নিং এর মাধ্যমে আরাে বিস্তৃত করা যায়।
৪. একজন শিক্ষার্থী প্রাতিষ্ঠানিক জ্ঞান লাভের পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে নিজেদের আরও দক্ষ করে তুলতে পারে।
শিক্ষার আলােকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিতে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যেমন গুরুত্বপুর্ণ ভুমিকা রাখে ঠিক সমপরিমাণ ভুমিকা রাখে ই-লার্নিং। যেখানে । আধুনিক প্রযুক্তি সর্বস্তরে বিরাজ করছে সেখানে শিক্ষাকে ডিজিটালাইজেশনে রূপান্তর করতে ই-লার্নিং এর আরাে প্রসার বৃদ্ধি করা প্রয়য়ােজন।ইলার্নিং এর মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজেকে বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষ করে গড়ে তুলতে পারে তাছাড়া ই-লার্নিং এর মাধ্যমে যে কেউ চাইলে সেই দক্ষতা কাজে লাগিয়ে যেমন অর্থ উপার্জন করতে পারে ঠিক তেমনি বিদেশ থেকে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করতে পারে। তাই ই-লার্নিং কে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের দেশের তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তিকে আরাে উন্নত করা প্রয়ােজন।
প্রতিবেদনের বিষয় :
প্রতিবেদন লিখার সময় :
প্রতিবেদন তৈরির তারিখ :
প্রতিবেদনের স্থান :
প্রতিবেদকের নাম ও ঠিকানা : প্রতিবেদকের স্বাক্ষর :