অ্যাসাইনমেন্ট

৬ষ্ঠ শ্রেণীর সকল অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ – (৪র্থ সপ্তাহ)

৬ষ্ঠ শ্রেণীর সকল অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ – (৪র্থ সপ্তাহ)

৬ষ্ঠ শ্রেণীর  অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ – ৪র্থ সপ্তাহ। আপনারা খুব সহজেই ৬ষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২ এখানে পেয়ে যাবেন। আমরা ৬ষ্ঠ শ্রেণীর প্রতিটি অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখানে তুলে ধরেছি। আপনারা যারা ৬ষ্ঠ শ্রেণি সকল এসাইনমেন্ট উত্তর জানতে চান। তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট টা তুলে ধরা হয়েছে।

৬ষ্ঠ শ্রেণীর বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর ২০২২

আমরা দেখতে পাচ্ছি অনেকেই ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর জানার জন্য অনুসন্ধান করছেন। তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা অভিজ্ঞ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক দ্বারা ৬ষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট ২০২১ বিজ্ঞান উত্তর এখানে তুলে ধরেছি। আশা করছি এর মাধ্যমে আপনারা পরিপূর্ণ ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান তৈরি করতে পারবেন। এবং বিজ্ঞান ষষ্ঠ শ্রেণি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধানে বেশি নাম্বার পাবেন।

অনেকেই আছেন যারা ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট দেখতে চান। তাদের জন্য ৬ষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট এর উত্তর দেওয়া হয়েছে আজকের এই পোস্টে। তাই আজকের এই পোস্টে তুলে ধরা হয়েছে ষষ্ঠ শ্রেণি বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান। জেনে নিন ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর। সবার সাথে শেয়ার করুন ষষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান সমাধান। নিচে দেখুন ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট উত্তর বিজ্ঞান।

তোমরা যারা ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট উত্তর জানার জন্য অনুসন্ধান করছো। তাদের জন্য এখানে ষষ্ঠ শ্রেণি ৪র্থ সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান দেয়া হয়েছে। তাই সবার সাথে ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান প্রশ্ন এবং উত্তর শেয়ার করুন। আরও দেখুন ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান প্রশ্ন উত্তর ২০২১ ও ষষ্ঠ শ্রেণির এসাইনমেন্ট বিজ্ঞান উত্তর। সবাই এ্যাসাইনমেন্ট 6 ও Class six Biggan assignment পেতে চাই। তাই তুলে ধরেছি ষষ্ঠ শ্রেণির বিজ্ঞান গাইড PDF। সবার সাথে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট বিজ্ঞান এর উত্তর শেয়ার করুন।

 

৬ষ্ঠ শ্রেণীর কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট সমাধান ২০২২ – ৩য় সপ্তাহের

নতুন বছর এবং নতুন সপ্তাহের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর দেয়া হয়েছে আজকের এই পোস্টে। প্রত্যেক শিক্ষার্থী যাতে তাদের ষষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট এ ভালো নাম্বার পেতে পারে। তাই আমরা কৃষিশিক্ষা অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী দ্বারা ষষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট উত্তর  তৈরি করেছে।

শ্রেণিঃ ষষ্ঠ

বিষয়ঃ কৃষি শিক্ষা

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রমঃ এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-০১;

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরোনামঃ প্রথম অধ্যায়, আমাদের জীবনে কৃষি;

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও শিরােনাম/ বিষয়বস্তু: পাঠ ১: কৃষির পরিধি ও পরিসর;

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ

অ্যাসাইনমেন্ট ১: ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা গ্রামের আদর্শ কৃষক আবদুর রহিম নিজ বাড়িতে ২টি গাভী, ১টি ষাঁড়, ২০টি হাঁস ও ২০টি মুরগি পালন করেন।

এ ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ফলমূল এবং পুকুরে নানা ধরনের মাছ চাষ করে থাকেন। তিনি মনে করেন মৌলিক চাহিদাগুলাের অধিকাংশই তার কার্যক্রম থেকে পেয়ে থাকেন।

তুমি কী মনে কর মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলাের সব কয়টি কৃষি কার্যক্রমের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব? যুক্তি দ্বারা তােমার মতামত উপস্থাপন কর।

অ্যাসাইনমেন্ট লেখার নির্দেশনাঃ

১) শিক্ষার্থীরা পাঠ্য বইয়ের ১ম অধ্যায়ের পাঠ ১ এর আলােকে মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলাে শনাক্ত করবে।

২) শিক্ষার্থীরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে প্রয়ােজনীয় তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করবে।

৩) শিক্ষার্থীরা নিজ পরিবারের সদস্যদের সাথে আলােচনা করে মৌলিক চাহিদাগুলাে সম্পর্কে জানবে।

৪) নিজ বাড়িতে বিদ্যমান গাছপালার তালিকা তৈরি করে সেগুলাের ব্যবহার/উপযােগিতা সম্পর্কে জানবে।

৫) কোনাে তথ্য উৎস থেকে অবিকল(হুবহু)। কোনাে তথ্য লিখে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেয়া যাবে না।

৬) নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে হবে।

৭) শিক্ষার্থীদের নিজ হাতে অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে হবে।

৮) শিক্ষার্থীদেরকে তাদের পিতামাতা, ভাইবােন, আত্মীয়স্বজন, শিক্ষকগণ লিখে দিলে তা বাতিল হবে।

৯) যে কোনাে কাগজ ব্যবহার করা যাবে।

১০) ১ম পৃষ্ঠায় নাম, শ্রেণি, রােল, বিষয়, অ্যাসাইনমেন্টের শিরােনাম স্পস্টভাবে লিখতে হবে।

এ্যাসাইনমেন্ট মূল্যায়ন রুবিক্সঃ

অতি উত্তমঃ

১. সঠিকভাবে মৌলিক চাহিদাগুলাের নাম লিখতে পারলে;
২. মৌলিক চাহিদাগুলাের কোনটি কোন উৎস হতে পাওয়া যায় তা পাঠ্যপুস্তকের সাথে সংগতিপূর্ণ থাকলে;
৩. লেখায় লক্ষ্যণীয়মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা থাকলে;
উত্তমঃ

১. অধিকাংশ (৩/৪ টি) চাহিদাগুলাের নাম লিখতে পারলে;
২. মৌলিক চাহিদাগুলাের কোনটি কোন উৎস হতে পাওয়া যায় তা পাঠ্যপুস্তকের সাথে অধিকাংশই সংগতিপূর্ণ থাকলে;
৩. লেখায় আংশিকমাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা থাকলে;
ভালােঃ

১. কমপক্ষে ২টি মৌলিক চাহিদার নাম লিখতে পারলে;
২. মৌলিক চাহিদাগুলাের কোনটি কোন উৎস হতে পাওয়া যায় তা পাঠ্যপুস্তকের সাথে আংশিকভাবে সংগতিপূর্ণ থাকলে;
৩. লেখায় সামান্যমাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতা;
অগ্রগতি প্রয়ােজনঃ

১. মৌলিক চাহিদাগুলাের নাম লিখতে না পারলে;
২. মৌলিক চাহিদাগুলাের কোনটি কোন উৎস হতে পাওয়া যায় তা পাঠ্যস্তকের;

৬ষ্ঠ‌ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট প্রশ্নের সমাধান ২০২২

সবাই ষষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট প্রশ্নের উত্তর জানতে অনুসন্ধান করে। তাই আজকের এই পোস্টে ষষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন এবং উত্তর দেয়া হয়েছে। নিচে থেকে দেখে নিন নতুন সপ্তাহের ষষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা উত্তর। এখানে আমরা প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর সঠিকভাবে মূল্যায়ন করে তুলে ধরেছি। পাঠ্যবই থেকে প্রতিটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর আমরা বের করেছি। তাই ষষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা পাঠ্যবই অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান দেখে নিন।

 

উত্তরঃ


আমি মনে করি মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলাের সব কয়টি কৃষি কার্যক্রমের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব। নিচে যুক্তি দ্বারা আমার মতামত উপস্থাপন কর হলো।

মানুষের মৌলিক ৫টি। এই মৌলিক চাহিদাগুলো হলোঃ

  • খাদ্য
  • বস্ত্র
  • বাসস্থান
  • চিকিৎসা
  • শিক্ষা

খাদ্যঃ মানুষের বেঁচে থাকার জন্য অবশ্যই খাবারের প্রয়োজন আর এই খাবারগুলো আমরা কৃষি থেকেই পেয়ে থাকি।যেমন, ভাতের জন্য চাল, রুটির জন্য গম, মাছ, মাংস, শাকসবজি , ফলমূল ইত্যাদি সবই কৃষি থেকে পেয়ে থাকি । এবং আমরা উদ্দীপকে দেখেছি আব্দুর রহিম কৃষক তার বাড়িতে এসব চাষ করেন। তাই তিনি এই চাহিদাটা এখান থেকে পূরণ করতে পারবেন।

বস্ত্রঃ আমরা আমাদের শরীর ঢাকার জন্য পুরোপুরি কৃষির উপর নির্ভরশীল | কেননা আমাদের পরিধেয় প্রায় সব পোষাকের সুতা কোনো না কোনো কৃষি থেকে তৈরি হয়েছে | যেমন, পাট, তুলা, রেশম, নলখাগড়া ইত্যাদি থেকে পাওয়া সূতা যা দিয়ে কাপড় তৈরি হয়। অন্য দিকে তিনি পশু পালন করেন। যা থেকে চামড়া ও রেশম পাওয়া সম্ভব। চামড়া ও রেশম তার পোশাকের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম।

বাসস্থানঃ মানুষের বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক বিপর্যয়, ক্ষতিকর প্রাণী থেকে রক্ষা এবং পরিশ্রম শেষে শান্তিতে বিশ্রাম বা নিদ্রার জন্য বাসস্থানের বিকল্প নাই | আর এগুলো আমরা কৃষি থেকে পেয়ে থাকি। যেমন, কাঠ, শন, বাঁশ, গোলপাতা ইত্যাদি দিয়ে আমরা ঘর বাড়ি ও আসবাবপত্র তৈরি করি। আব্দুর রহিম কৃষকের তার বাড়ির আঙিনায বিভিন্ন পুরোনো গাছের চাষ করেন। যা তার বাসস্থান তৈরিতে কাজে লাগবে। অতএব বলা যায় বাসস্থানের চাহিদা তিনি তার গাছ দিয়ে করতে পারবেন।

চিকিৎসাঃ প্রাচীনকাল থেকেই আমরা চিকিৎসার জন্য কৃষির উপর নির্ভরশীল | যদিও বর্তমান বিশ্বে চিকিৎসার ক্ষেত্রে আধুনিকতার ছোয়া পড়েছে কিন্তু এরপরেও এখনও প্রাকৃতিকভাবে অসুখের চিকিৎসার চর্চা হয়ে থাকে । আর এর উপাদানগুলো আমরা কৃষি থেকেই পাই। বাসক, বহেরা, হরিতকি, ইত্যাদি হতে জীবন রক্ষাকারী ওসধ তৈরি হয়। অতএব উদ্দীপকের আব্দুর রহিম কৃষক তার চিকিৎসার জন্য চিকিৎসা সামগ্রির চাহিদা বাড়ির আঙিনার উদ্ভিদ তেকে পেতে পারেন।

শিক্ষাঃ শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড | আর এই শিক্ষার জন্য বই পড়তে হয় এবং কাগজে লিখতে হয়| আমরা এই কাগজ কৃষি থেকেই পাই। যেমন; কাঠ ও আখের ছোবড়া, বাশ ইত্যাদি।

উপরের যুক্তিযুক্ত আলোচনা থেকে আমরা নির্দ্বিধায় বলতে পারি মৌলিক চাহিদাগুলাের সব কয়টি কৃষি কার্যক্রমের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব।

বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ। আমাদের জীবনে কৃষির গুরুত্ব। অনেক। কৃষি কাজ সারা পৃথিবীতেই আদি, আধুনিক ও অত্যন্ত সম্মানজনক পেশা। কেননা এর মাধ্যমেই পুরাে বিশ্বের মানুষ খাবার খেয়ে বেঁচে থাকেন। আমাদের সব মৌলিক চাহিদাগুলােও (যেমন- খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা) বিভিন্নভাবে। কৃষিকাজের মাধ্যমে আদিকাল থেকে পূরণ করা হয়। তাই । কৃষিকাজ ও কৃষিশিল্পের পরিধি ব্যাপক ও বিস্তৃত। আমাদের মৌলিক চাহিদাগুলাে পূরণের মাধ্যমে কৃষিকাজ ও কৃষিশিল্পের পরিধি ব্যাখ্যা করা হলাে

 মােলিক চাহিদা-১; খাদ্য ।

মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম হলাে খাদ্য। কৃষিই আমাদের খাবারের যােগান দেয়। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রয়ােজনীয় প্রধান খাদ্য হলাে চাল। চাল থেকে ভাত তৈরি করা হয়। এই ভাত বাংলাদেশের মানুষের প্রধান খাবার।। আমাদের প্রতিদিনের জীবনে যেসব শাকসবজি, ফল-ফলাদি খাওয়ার প্রয়ােজন। হয়, যেমন- গম, আলু, ভুট্টা, আম, আনারস, আপেল, পেঁপে (তরকারিতে দেই ও | ফল হিসেবে আমরা খাই), গাজর ইত্যাদি সবই চাষাবাদ করতে হয়। কখনাে বাড়ির আঙিনাতে, কখনাে বাগান করে, আবার কখনাে জমিতে চাষ করে আমরা কৃষকদের মাধ্যমে এই ফসল ও ফলমূলগুলাে উৎপাদন করি। তাই বলা। যায়- শত শত বছর ধরে এই দেশ ও এই অঞ্চলের মানুষের প্রধান খাবারের ‘ চাহিদা কৃষিকাজের মাধ্যমে চাষাবাদ পদ্ধতির মাধ্যমে হয়ে আসছে।

মৌলিক চাহিদা-২: বস্ত্র।

মানুষের নানা ধরনের প্রতিকূল আবহাওয়া, নিরাপত্তা ও নিজের লজ্জা নিবারণ ও সভ্যতার অংশ হিসেবে বস্ত্র পরিধান ও ব্যবহার হয়ে আসছে। এটা মানুষের দ্বিতীয় মৌলিক চাহিদা। বস্ত্র তৈরির মূল যে উপাদান সেটা হচ্ছে সুতা, আর এ সুতা আসে কৃষি থেকে। যেমন- পাট, তুলা, রেশম, তিসি বা ফ্লাক গাছের আঁশ।

মৌলিক চাহিদা-৩: বাসস্থান।

মানুষের তৃতীয় মৌলিক চাহিদা হিসেবে যাকে গণ্য করা হয় তা হল বাসস্থান। বাসস্থান তৈরির প্রধান উপকরণ বিশেষ করে গ্রাম। অঞ্চলে বাঁশ, কাঠ, খড়, বেত, গােলপাতা, ছন ইত্যাদি ব্যবহার করা হয় কৃষি পণ্য থেকে। এছাড়া শহরে ইটের গাঁথুনির বাড়িগুলােতে নকশা, ছাদ তৈরি ও দরজা-জানালা তৈরিতে কাঠজাত কৃষিদ্রব্য ব্যবহার করা হয়।

মৌলিক চাহিদা-৪: শিক্ষা

কথায় আছে, শিক্ষা মানুষকে মানুষ বানায় এবং একজন প্রকৃত শিক্ষিত মানুষ দেশের সম্পদ। আর এই শিক্ষার প্রধান উপকরণ | যেমন- কাগজ, পেন্সিল তৈরি হয় কৃষিদ্রব্য বাঁশ, কাঠ, আখের ছােবড়া, ধানের খড়, রাবার, আঠা ইত্যাদি কৃষি পণ্য থেকে আসে।

মৌলিক চাহিদা-৫: চিকিৎসা।

চিকিৎসা হল মানুষের গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক চাহিদা। রোগ ব্যাধির চিকিৎসার জন্য ওষুধ তৈরি হয়। এ ওষুধ মানুষের চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহার হয়। মানুষের সুস্থ হয়ে ওঠার জন্য এবং রোগ প্রতিরোধ করার জন্য বর্তমানে অ্যালোপ্যাথি (হারবাল), হোমিওপ্যাথি ইউনানী, আয়ুর্বেদিক বিভিন্ন | ওষুধ তৈরি হয় কৃষিজাত দ্রব্য দিয়ে। এছাড়া জীবন রক্ষাকারী পেনিসিলিন তৈরি হয় এক ধরনের ছত্রাক উদ্ভিদ থেকে। আমলকি, হরিতকি, বহেরা, থানকুনি পাতা, বাসক ইত্যাদির উদ্ভিদের ঔষধি গুণ। রয়েছে; যা আমাদের বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি হতে সুস্থ হতে সহায়তা করে।

উপসংহার কৃষি গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, খাদ্য নিরাপত্তা তথা খাদ্যশস্য উৎপাদনে । স্বনির্ভরতা অর্জন, শিল্পায়ন, দারিদ্র্য দূরীকরণ, গ্রামীণ নারী-পুরুষের এবং বিশেষ করে শিশুদের পুষ্টি সাধনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক ও টেকসই অর্থনৈতিক । উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে। আমাদের মৌলিক চাহিদার সবগুলােই আমরা কৃষি থেকে পেয়ে থাকি। আশার কথা হলাে- বর্তমানে কৃষির পরিধি দিন দিন । বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ আগের থেকে বেশি কৃষির উপর গুরুত্ব দিচ্ছে। তরুণ যুব । সমাজ নিজেদেরকে কৃষি পেশায় নিয়ােজিত করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের সব মানুষের | মৌলিক চাহিদা পূরণে কৃষির অবদান দিন দিন বেড়েই চলছে।

 

 শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ – ৩য় সপ্তাহের

৬ষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১ – ৩য় সপ্তাহের-  ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী যারা রয়েছে তারা বেশিরভাগ জন গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট তৈরি করতে পারেনি। তাই সবার কথা চিন্তা করে আমরা গার্হস্থ্য বিজ্ঞান বিষয়ের অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা তৈরি করেছে ষষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট উত্তর। ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের একটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান এসাইনমেন্ট সমাধান করতে হবে। তাই নিচে দেখে দেখে নিন ষষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্ন উত্তর। Home Science (Garostho Biggan) Assignment Class 6 Answer 2021 (3rd Week) ও ষষ্ঠ শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসাইনমেন্ট প্রশ্নের সমাধান।

শ্রেণিঃ ষষ্ঠ

বিষয়ঃ গার্হস্থ্য বিজ্ঞান

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজের ক্রমঃ এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজ-০১;

অধ্যায় ও অধ্যায়ের শিরোনামঃ প্রথম অধ্যায়, গৃহ ও গৃহ পরিবেশের সাধারণ ধারণা;

পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত পাঠ নম্বর ও শিরােনাম/ বিষয়বস্তুঃ

১- গৃহ ও গৃহ পরিবেশ ।

২- গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানের বিন্যাস ।

৩- প্রয়োজনীয় জিনিস যথাস্থানে সংরক্ষণ ।

৪- গৃহ পরিবেশ রক্ষা ও সৌন্দর্য বর্ধনে গাছ ।

এ্যাসাইনমেন্ট বা নির্ধারিত কাজঃ

এ্যাসাইনমেন্ট নং-১:


১। তোমার গৃহ পরিবেশের বিভিন্ন অংশের নামগুলো লেখ।

২। নিম্নে উল্লেখিত গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানগুলোকে ছকে সাজাও এবং সেই স্থানগুলোতে তোমার পরিবারের সদস্যরা কী কী কাজ করে তা উল্লেখ কর ।

শোবার ঘর, ড্রইং রুম, রান্নাঘর, খাওয়ার ঘর, পড়ার ঘর, বাথরুম ।

এ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত নির্দেশনাঃ

  • ১। বিষয়বস্তু সম্পর্কে শিক্ষার্থীকে সঠিক ধারণা দিন।
  • ২। অ্যাসাইনমেন্ট (নির্ধারিত কাজ) প্রদান করুন।
  • ৩। কাজটি নির্ধারিত সময়ে সম্পন্ন করে জমা দিতে উৎসাহিত করুন।

অ্যাসাইনমেন্ট মুল্যায়ন নির্দেশনা বা মূল্যায়ন রুব্রিক্সঃ

 

অতি উত্তমঃ

  • ১। গৃহ পরিবিশের সবগুলো অংশের নাম সঠিকভাবে লিখতে পারা ।
  • ২। গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানগুলোকে সঠিকভাবে ছকে সাজাতে পারা ।
  • ৩। গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানগুলোকে সম্পাদিত সকল কাজ সনাক্ত করতে পারা ।
  • ৪। পর্যায় অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে পারা ।
  • ৫। লেখায় লক্ষ্যনীয় মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতার প্রকাশ ।
  • ৬। বানান ও বাক্য গঠন ঠিক থাকা ।

উত্তমঃ

  • ১। গৃহ পরিবেশের বেশিরভাগ অংশের নাম সঠিকভাবে লিখতে পারা ।
  • ২। গৃহের অভ্যন্তরীণ বেশরিভাগ স্থানগুলোকে সঠিকভাবে ছকে সাজাতে পারা ।
  • ৩। গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানগুলোকে সম্পাদিত অধিকাংশ কাজ সনাক্ত করতে পারা ।
  • ৪। পর্যায় অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে পারা ।
  • ৫। লেখায় আংশিক মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতার প্রকাশ ।
  • ৬। বানান ও বাক্য গঠন ঠিক থাকা ।

ভালোঃ

  • ১। গৃহ পরিবেশের কয়েকটি অংশের নাম ঠিকভাবে লিখতে পারা ।
  • ২। গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানের কিছু অংশের নাম ছকে সাজাতে পারা ।
  • ৩। গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানগুলোয় সম্পাদিত কিছু কাজ সনাক্ত করতে পারা ।
  • ৪। পর্যায় অনুযায়ী কাজের ধারাবাহিকতা আংশিকভাবে রক্ষা করতে পারা ।
  • ৫। লেখায় আংশিক মাত্রায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতার প্রকাশ ।
  • ৬। বানান ও বাক্য গঠন আংশিক ঠিক থাকা ।

অগ্রগতির প্রয়োজনঃ

  • ১। গৃহ পরিবেশের বিভিন্ন অংশের নাম লিখতে না পারা ।
  • ২। গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানগুলোকে ঠিকভাবে ছকে সাজাতে না পারা ।
  • ৩। গৃহের অভ্যন্তরীণ স্থানগুলোয় সম্পাদিতু কাজ সনাক্ত করতে না পারা ।
  • ৪। পর্যায় অনুযায়ী ধারাবাহিকভাবে কাজ করতে না পারা ।
  • ৫। লেখায় নিজস্বতা ও সৃজনশীলতার অভাব ।
  • ৬। বানান ও বাক্য গঠন আংশিক ঠিক থাকা ।

 

 ইংরেজি অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান ২০২১

অত্যন্ত আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে ষষ্ঠ শ্রেণির জন্য প্রকাশিত তৃতীয় সপ্তাহের এসাইনমেন্ট এর সমাধান প্রকাশ করতে পেরেছি। আমরা ইতিমধ্যেই সব গুলো বিষয়ের প্রশ্নপত্র সমাধান আপলোড করেছি আমাদের ওয়েবসাইটে।

আমাদের আজকের লেখায় আমরা আপনাদের ষষ্ঠ শ্রেণীর তৃতীয় সপ্তাহের ইংরেজি এসাইনমেন্ট এর প্রশ্নের সমাধান দিব। সঠিক প্রশ্নের সমাধান পেতে অবশ্যই সম্পূর্ণ লেখাটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে।

Class 6 All Week English Assignment Answer

Reviewing the sixth grade English assignments in the first and second weeks, it is seen that question has been divided from the various lessons in the original book prepared by NCTB. The clear answer to all these questions is simply given in the Sixth Grade English Assignment Solution section on our website.

Thanks, everyone.

Class 6 English Assignment (2nd week) Answer :

 

My First Day at School 

My First Day at School :

A school is a place of learning for a child. It is a training ground for him. Here he forms new associates, comes in contact with boys of different temperaments, and forms new ideas and habits.

There were ten teachers including the physical instructor. The headmaster’s office was separate. The school had a compound with lush green lawns and flowers bedded.

My father took me to the headmaster’s office and got me admitted to the school. He gave me a packet of toffees to be distributed among my classmates.

My class teacher was very gentle. He encouraged me and treated me kindly. I felt a bit nervous in the new environment. The boys looked at me with wonder and smiled. I had with me an English primer and got my first lesson in the alphabet.

The bell for the interval rang. The boys rushed out of the classrooms. Some of them gathered rounded me. They laughed at me and made fun of me. A few sympathized with me and befriended me. I had a novel experience.

 

 বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান – ২য় সপ্তাহ

 

প্রশ্ন:৬ষ্ঠ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট সমাধান – ২য় সপ্তাহ :

২য় সপ্তাহের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এসাইনমেন্ট উত্তর :

১৯৫২ ভাষা আন্দোলন : ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্রভাষাকে বাংলা করার জন্য ছাত্ররা একত্রিত হয়ে মিছিল বের করে। সেই মিছিলে পাক বাহিনির গুলিতে রফিক, সালাম, বরকত, ভাববারসহ আরাে অনেকে শহীদ হয়। ভাষা আন্দোলনের সময় বঙ্গবন্ধু জেলে। থাকলেও তিনি চিরকূটের মাধ্যমে আন্দোলনকে নেতৃত্ব দিয়েছে। ১৯৪৭ সালের ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অনুষ্ঠিত পূর্ব পাকিস্তানের কর্মী সম্মেলনে গণতান্ত্রিক যুবলীগ গঠিত হয়। এর আগে ১৯৪৮ সালে ৬ ও ৭ সেপ্টেম্বর ভাষা বিষয়ক কিছু প্রস্তাব গৃহীত হয়। সম্মেলনের কমিটিতে গৃহীত প্রস্তাবগুলাে পাঠ করলেন সেদিনের। ছাত্রনেতা শেখ মুজিবুর রহমান।

১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট সাধারণ নির্বাচন : ১৯৫৪ সালে ১০ই মার্চ পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে পূর্ববঙ্গে যুক্তফ্রন্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে সরকার গঠন করে। কিন্তু পাকিস্তান শাষকগােষ্ঠী বাঙালির এই আধিপত্য মেনে নিতে পারেনি। মাত্র আড়াই মাসের মধ্যে ৩০শে মে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে মন্ত্রিসভা ভেঙ্গে দিয়ে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়। | এটা ছিল বাঙ্গালিদের উপর জুলুমের এক বহিঃপ্রকাশ। এই নির্বাচনের পর বঙ্গবন্ধুকে ৭ মাস কারাবন্ধি করে রাখা হযেছিল।নিরাপত্তা ব্যবস্থার ন্যূনতম উন্নতি করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেনি। বাঙালিদের প্রতি জাতিগত এই বৈষম্যর বাস্তব চিত্র তুলে ধরে ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারী লাহারে আহত ‘সর্বদলীয় জাতীয় সংহতি সম্মেলন’ শেখ মুজিবর রহমান ৬ দফা দাবী উপস্থাপন করেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘গত দুই যুগ ধরে পূর্ব বাংলাকে যেভাবে শােষণ করা হয়েছে তার প্রতিকারকল্পে এবং পূর্ব বাংলার ভৌগােলিক দূরত্বের কথা বিবেচনা করে আমি ৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করছি।’ পরবর্তীতে এই ৬ দফা দাবি বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ হিসাবে বিবেচিত হয়।

৬৬ এর ৬ দফা আন্দোলন : ১৯৬৫ সালে পাকভারত যুদ্ধর সময়কাল বাস্তব ক্ষেত্রে প্রমাণিত হয় পূর্ব বাংলা সভাবে অরক্ষিত ছিল। স্পষ্ট হয়ে ওঠে পাকিস্তানের সামরিক শাসকগণ। সামাজিক, সাংস্কৃতিক নিপীড়ন ও এখলিভিক শােষাণর ধারাবাহিকতায় বাংলার নিরাপত্তা ব্যবস্থার ন্যূনতম উন্নতি করার প্রচেষ্টা গ্রহণ করেনি। বাঙালিদের প্রতি জাতিগত এই বৈষম্যর বাস্তব চিত্র তুলে ধরে ১৯৬৬ সালের ৫ই ফেব্রুয়ারী লাহারে আহত ‘সর্বদলীয় জাতীয় সংহতি সম্মেলন’ শেখ মুজিবর রহমান ৬ দফা দাবী উপস্থাপন করেন। ভাষণে তিনি বলেন, ‘গত দুই যুগ ধরে পূর্ব বাংলাকে যেভাবে শােষণ করা হয়েছে তার প্রতিকারকল্পে এবং পূর্ব বাংলার ভৌগােলিক দূরত্বের কথা বিবেচনা করে আমি ৬ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করছি।’ পরবর্তীতে এই ৬ দফা দাবি বাঙালি জাতির মুক্তিসনদ হিসাবে বিবেচিত হয়।

৬৯-এর গণ–আন্দোলন : পূর্ববাংলার স্বায়ত্বশাসনের দাবিতে জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দল ও ছাত্র সংগঠনগুলাের সমন্বয়ে দেশব্যাপী আন্দোলন গড়ে ওঠে। এই ধারাবাহিকতায় স্বায়ত্বশাসনের আন্দোলন বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের পথকে উন্মুক্ত করে। -সহিংস আন্দোলন সহিংসতার দিকে ধাবিত হতে থাকে। এই সময় রাজনৈতিক দলের ৬ দফা দাবি গণদাবিতে পরিণত হয়।

৭০-এর সাধারণ নির্বাচন : ২৫শে মার্চ ৬৯ সারা দেশে সামরিক শাসন জারির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা হস্তান্তর হলেও সামরিক সরকার গণ-দাবিকে উপেক্ষা করার মত শক্তি সঞ্চয় করতে পারেনি। তাই প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক জেনারেল আগা মােহাম্মদ ইয়াহিয়া খান সারা দেশে এক ব্যক্তি এক ভােটের নীতিতে সাধারণ নির্বাচন দিতে বাধ্য হন। ৭ই ডিসেম্বর ‘৭০ থেকে ১৯শে ডিসেম্বর’ ৭০ এর মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে। তফসিল ঘােষণা করা হয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে দেশব্যাপী এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ ৬ দফা ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের পক্ষে রায় প্রদান করে।এ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ জাতীয় পরিষদে ৩১০ আসনের মধ্যে ১৬৭ আসন এলাভ করনিরস্তুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিষ কেন্দ্রীয় সরকার গঠন আন্তঃনাক্ত করে। নির্বাচন জয়লাভের পর পাকিস্তানের সামরিক শাসক জেনারেল আসা মােহাম্মদ ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সরকার গঠন মত দিতে অস্বীকার করেন।

৭১ এর অসহযোগ আন্দোলন : একটি রাজনৈতিক দল জনগণের ভােটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের ম্যান্ডেট পেয়েছে। তারা সরকার গঠন করবে, এটাই ছিল বাস্তবতা। কিন্তু সামরিক শাসকগণ সরকার গঠন বা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া বাদ দিয়ে এক আলােচনা শুরু করে। কিসের জন্য আলােচনা, এটা বুঝতে বাঙালি। নেতৃবৃন্দের খুব একটা সময় লাগেনি। জাতীয় সংসদের নির্ধারিত অধিবেশন স্থগিতের প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু ১লা মার্চ ১৯৭১ দেশব্যাপী অসহযােগের আহবান জানান। সর্বস্তরের জনগণ একবাক্যে বঙ্গবন্ধুর এই আহবানে সাড়া দিয়ে পূর্ব পাকিস্তানের সমস্ত প্রশাসনিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে অচল করে তােলে। তারপর। ৭ই মার্চ শেখবুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘােষনা দেন এবং সংগ্রামের ডাক দেন। বসব মুজিবর রহমানের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত সুহণ করা হয়।

সর্বশেষ কথা

আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের এই পোষ্টে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর অ্যাসাইনমেন্ট তুলে ধরার জন্য। আশা করি এর মাধ্যমে আপনারা খুব সহজেই ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এসাইনমেন্ট উত্তর তৈরি করতে পেরেছেন।তাই আজকের এই পোস্ট আপনার বাকি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন যাতে বাকিরাও সপ্তম শ্রেণির  অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান করতে পারে। ৬ষ্ঠ শ্রেণীর সকল সপ্তাহের সকল বিষয়ের অ্যাসাইনমেন্ট সমাধান পেতে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button