বাংলা রচনা

বাংলার উৎসব প্রবন্ধ রচনা

বাংলার উৎসব


বাংলার উৎসব এই প্রবন্ধটি তোমরা কীভাবে  লিখলে পরীক্ষায় সম্পূর্ণ নম্বর পাবে তা এই সাইটে দেওয়া হল ।

ভূমিকা: বাঙালির ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের মেঘ,বারবার ঘনিয়েছে,কখনো দুর্ভিক্ষ মহামারীতে মেতেছে, বীভৎস মরণ যজ্ঞে।কখনো রাষ্ট্রীয় বিপর্যয় তাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেছে স্থান থেকে স্থানান্তরে।তবু আনন্দ স্রোতে ভাটা পড়েনি কারণ বাঙালি উৎসবপ্রিয় জাতি উৎসবে মানুষের মনের পরিধি বিস্তৃত হয় প্রাত্যহিক নানা সমস্যায় মানুষ বিব্রত, ক্লান্ত,বিপন্ন।উৎসব মানুষের প্রাত্যহিকতার যাবতীয় গ্লানি থেকে মুক্ত করে।সেদিন মানুষ উপলব্ধি করে আত্মার বিরাট বিস্তৃতিকে।তাই জীবনকে বৈচিত্র্যময় করে তোলে উৎসব। মেলামেশার প্রাঙ্গন:আমার আনন্দে সবার আনন্দ হউক,আমার সুখে সবাই সুখী হউক,এই কল্যাণী ইচ্ছায় উৎসবের প্রাণ।মানুষ চায় গতানুগতিক একঘেয়েমির জীবন থেকে মুক্তির,উৎসব ছাড়া

যেমন-১.ঋতু উৎসব

২.ধর্মীয় উৎসব

৩.সামাজিক-পারিবারিক উৎসব ৪.জাতীয় উৎসব

ঋতু উৎসব: বিশেষ বিশেষ ঋতুর সঙ্গে সাযুজ্য রেখে বাঙালিরা মেতে ওঠে নানা ঋতু উৎসবে। বছরের শুরুতে নববর্ষ উদযাপন হয় নানারকম ভাবে। নবান্ন ও পৌষপার্বন দুটি উৎসব নতুন ফসল কাটার সময় হয়।শীত ঋতুতে এই উৎসবকে কেন্দ্র করে নানারকম পিঠেপুলি ও মিষ্টান্ন তৈরি হয়।দোলযাত্রাকে কেন্দ্র করে রঙের উৎসবে মেতে ওঠে বাঙালি।রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে বৃক্ষরোপণ উৎসব,বর্ষামঙ্গল,বসন্ত উৎসবের প্রচলন করেন,যা আজও বাঙালির জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ।

ধর্মীয় উৎসব: মুসলমানদের ঈদ,মহরম,সবেবরাত কিংবা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের গুড ফ্রাইডে,বড়দিন,ইস্টার,স্যাটারডে পালিত হয় বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের মধ্যে।ধর্ম আলাদা হোলেও একে অপরের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ।

ধর্মীয় উৎসব: বাঙালি জাতি নানা রকম ধর্ম বিশ্বাসে বিশ্বাসী। তাই ধর্ম কেন্দ্রিক নানা উৎসবের আয়োজন চলে বছরের বিভিন্ন সময়ে।হিন্দুদের প্রধান উৎসব। দুর্গাপূজা,এছাড়া কালী পূজা,সরস্বতী পূজা,লক্ষ্মীপূজা,বিশ্বকর্মা পূজার আয়োজন করা হয়।

সামাজিক-পারিবারিক উৎসব: বেশ কিছু উৎসব আছে যেগুলােতে পরিবারের কোনাে আনন্দ অথবা দুঃখের অনুভূতিকে সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয়।বিবাহ, অন্নপ্রাশন,ভাইফেঁাটা,জামাইষষ্ঠী এই সকল । অনুষ্ঠান আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব প্রতিবেশী মিলনানুষ্ঠানে পরিণত হয়।এই সকল অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে পারস্পারিক মনোমালিন্য যেমন দূর হয়,তেমনি দূরের আত্মীয় ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে মিলনের সুযােগ তৈরি হয়।

জাতীয় উৎসব: আমরা যে রাষ্ট্রে বাস করি সেই ভারতবর্ষে বিভিন্ন মনীষীদের জন্ম দিবস-রবীন্দ্রজয়ন্তী,মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিন,নজরুল জয়ন্তী এবং বিশেষ কিছু দিন যেমন-স্বাধীনতা দিবস, প্রজাতন্ত্র দিবস ও সারা ভারতবাসীদের সঙ্গে বাঙালিরা যথাযােগ্য মর্যাদায় উদযাপন করে থাকে।

উৎসবের সেকাল ও একাল: উৎসবের সেকাল পরিবারগত,ব্যক্তিগত ও সামাজিক যে কোন উৎসব হােক না কেন তাতে ছিল প্রাণের স্পর্শ। সেকালের উৎসব প্রাঙ্গনে ধনী ব্যক্তিরা ও গরিব ব্যক্তিরা সকলে জুড়ে হয়ে উঠত উমধুর।অপরদিকে বর্তমানকালে উৎসবে প্রাণের স্পর্শ অনুপস্থিত বেড়েছে শুধু বাইরের সাজসজ্জা মাইকের গর্জন সমাজবিরােধীদের জুলমি চাদা আদায়।কুৎসিত অঙ্গভঙ্গি সহকারে নাচ যেন এক নরকুন্ডে পরিণত হয়েছে।

উপসংহার: যতই কৃত্রিমতা চেপে বসুক না কেন বাঙালি আজও উৎসব মুখর থাকতেই ভালােবাসে।তাই আজও নতুন প্রজন্ম অনেক হারিয়ে যাওয়া উৎসব নতুন করে পালন করছে। লাইট,প্যান্ডেল,প্রতিমা নির্মাণ প্রতিযোগিতা চলে তার মধ্যেও বাঙালির শিল্প ভান্ডারের পরিচয় পাওয়া যায়।কর্মব্যস্ত মানুষ | আজকাল উৎসবের দিনগুলােতে কাছ থেকে দূরে থাকতে চাই।
আর ফিরে আস্তে চাই নিজ ভুমিতে ।

আধুনিক পর্যায় সারণী পর্যায় সারণি মনে রাখার সহজ উপায় |

অন্যান্য বিষয়ে মজার মজার টেকনিক শিখতে আমাদের সাথে থাকুন ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button