শিক্ষা ও জীবন

ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প। ভূতের গল্পের বই পড়ুন এখান থেকে

প্রিয় ভিউয়ার্স আশা করি ভাল আছেন আজকে আমরা আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি ভয়ঙ্কর একটি পোস্ট এই পোস্টটি ভয়ংকর বলার কারণ   আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে যারা ভূতের গল্প পড়তে ভালোবাসেন এবং পছন্দ করেন। এই সকল ব্যক্তির মধ্য থেকে অনেকেই রয়েছে যারা এই ধরনের গল্পগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে থাকেন অথবা বন্ধু-বান্ধবদের মাঝে পড়ে শোনান। যে ক্ষেত্রে ব্যবহার করুন না কেন আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে যে গল্পগুলো দেওয়া হবে সেগুলো হতে চলেছে খুবই ভয়ঙ্কর সুতরাং বলা যায় যারা ভূতের গল্প পড়তে ভালোবাসেন তাদের জন্য এই পোস্টটি। আমাদের সমাজে ভূত নিয়ে বিভিন্ন ধরনের মন্তব্য রয়েছে। সকল মন্তব্য সাথে সাদৃশ্য রেখে কিছু গল্প তৈরি করা হয়েছে। এছাড়াও কিছু ব্যক্তির মুখ থেকে শোনা কাহিনীর উপর ভিত্তি করে কয়েকটি গল্প তৈরি করা হয়েছে। ভূতের গল্পের বই থেকে কয়েকটি গল্প আমরা আপনাদের জন্য উপস্থিত করেছে যেগুলো হতে চলেছে খুবই ভয়ানক। আশাবাদী এই সকল ভূতের গল্প পড়লে আপনিও ভয় পড়বেন।

আপনি কি ভূতের গল্প পড়তে ভালোবাসেন অথবা ভূতের গল্প পড়ে সময় কাটানোর চেষ্টা করছেন। এ ধরনের ব্যক্তিদের জন্য আমরা বাছাইকৃত কয়েকটি হাড় কাঁপানো শিতল করা ভুতের গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপিত করেছি । তাই অবশ্যই আমাদের এখান থেকে ভূতের গল্প গুলো পড়বেন আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। ভূতের গল্প গুলো নিচে তুলে ধরা হলো আপনারা পড়ে নিন।

ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প

ভয়ঙ্কর ভূতের গল্প। বেশি ভূতের গল্প গুলোর মধ্যে অন্যতম কিছু গল্প আপনাদের জন্য নির্বাচন করেছি। এছাড়াও নতুন নতুন গল্প গুলো আপনাদের জন্য উপস্থাপন করছি আপনাদের পছন্দের গল্পগুলো বেছে নিয়ে পড়তে পারেন। অনেকেই রয়েছেন যারা ভূত বিশ্বাস করেন না। গল্পের ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ভুত বিশ্বাস করতে হবে এবং সেই মন মানসিকতা নিয়ে গল্প পড়তে শুরু করুন তাহলে আপনি গল্পে ডুবে যাবে এবং ভূতের গল্পে বিপুল পরিমাণে মজা পাবেন । গল্পগুলো নিচে দেওয়া রয়েছে আপনার পড়ে নিন।

আমি তখন কলেজে ভর্তি হয়েছি মাত্র। আমার বাসা থেকে প্রায় ৩৫-৪০কি.মি. দুরে কলেজ। তাই কলেজ আর প্রাইভেটের এর সুবাদে আমাকে মেস এ থাকতে হয়। তো আমি কলেজ থেকে ১কি.মি. দুরে একটা তিনতলা বিশিষ্ট মেস এ উঠলাম। ২য় তলায় খুবই সুন্দর একটা রুম পেলাম। আমাদের মেস থেকে কিছুদুরেই চৌরাস্তা। আমি আর নীলিমা(মিতুর রুমমেট) দুজন থাকি এই রুমটাতে। সেও আমার সাথেই পড়ে আর এখানে নতুন। দুজন মিলে খুব সুন্দর করে রুমটা সাজালাম। রুমের দরজার পাশেই আমার পড়ার টেবিল, আর পড়ার টেবিলের পিছনে আমাদের বিছানা আর তারপর বিছানার সাথে যুক্ত নীলিমার পড়ার টেবিল। রুমের উত্তরে দুটি জানালা। জানালা খুললেই আকাশ দেখা যায়। আর একটু দুরে দুটো বড় নারিকেলের গাছ। নীলিমার সাথে আমার খুব ভালো সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেল।

৬ মাস খুব ভালোভাবে কেটে গেল। সবার সাথে খুব ভালো পরিচয় হয়ে গেছে। ঘটনাটা ঘটে তখনই। একদিন কলেজ প্রাইভেট শেষ করে সন্ধ্যায় ফিরে দেখি নীলিমা কাপড় গুছাচ্ছে। আমি তাকে বললাম, কি রে নীলু, বাসায় যাবি? আকাশের অবস্থাও তো ভালো না সে বললো, হুমম, বাবা ফোন করেছিলো যেতে বললো ওহ, কোনো কিছু হয়েছে কি? আরে না , এমনি যেতে বললো আচ্ছা সাবধানে যাস। তাড়াতাড়ি পৌঁছিস, যেকোনো সময় ঝড় আসতে পারে আচ্ছা আরও কথা হলো এবং সে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো। তার বেরিয়ে যাওয়ার পরে কি মনে করে যেন আমার চোখ জানালায় চলে গেল। আমি স্পষ্ট দেখলাম নারিকেল গাছে একটা ঈগল বসে আমার দিকে তাকিয়ে আছে।জানালা দুটো বন্ধ করে দিলাম।

যখন জানালা বন্ধ করতে যাই তখন একটা গরম নিশ্বাস আমার উপর এসে পড়েছিল। হঠাত একটা অজানা ভয় কাজ করতে শুরু করলো। মনে হচ্ছে কেউ যেন আমার আশেপাশে আছে। এর কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি শুরু হলো। আমি ভাবছি নীলিমা এতক্ষণে হয়তো গাড়িতে উঠে গেছে। তাই পড়ার টেবিলে বসলাম পড়তে। বাংলা বইটা বের করেছি এমন সময় কারেন্ট টা চলে গেল। আর তখন শুরু হলো ভীষণ বজ্রপাত। কিন্তু এই ঝড়বৃষ্টির রাতেও আমি বাইরে থেকে একটা কুকুরের কান্নার আওয়াজ শুনতে পেলাম। আমি জানালা খুলে দেখলাম একটা কুকুর আমার রুমের দিকে তাকিয়েই এমন করে কাঁদছে। আমি হঠাত বিদ্যুতের আলোতে দেখতে পেলাম ঈগলটা এখনও সেই গাছে বসে আছে। একটা অশরীরির ভয় আমাকে যেন জড়িয়ে ধরছে। সাথে সাথে জানালা বন্ধ করে দেই। আমি ভয়ে ভয়ে মোমবাতি নিয়ে পডড়তে বসলাম। এমন সময় দরজায় ধাক্কা দিয়ে মিতু মিতু করে কে যেন ডাকলো। আমি দরজা খুলতেই দেখি নীলিমা। আমি বললাম,নীলু, ভালোই হয়েছে তুই এসেছিস রে!

এমন ভিজতে ভিজতে ফিরে আসলি কেন? আরে রাস্তায় কোনো গাড়ি পেলাম না রে। শুন না আমার ক্ষুধা লাগছে খুব আচ্ছা তুই চেন্জ কর, আমার খাবারটা খাইস।আমার কেন জানি আজ খেতে ইচ্ছে করছে না এরপর নীলু চেন্জ করে আমার টেবিল থেকে আমার খাবার টা নিয়ে একটা মোমবাতি জ্বালিয়ে খেতে শুরু করলো। আমি আবার পড়ায় মনোযোগ দিলাম আর ভাবলাম যাক বাবা , ভয় টা কাটলো। অদিকে কুকুরটারও কাঁদা বন্ধ হয়েছে। ঠিক সে সময় আবার দরজায় ধাক্কা। আমি দরজা খুললাম আর দেখলাম নীলুকে। আবার আগের মতোই ভিজতে ভিজতে চলে আসলো। আমি ভয় পেয়ে গেলাম আর ওকে ভয়ে ভয়ে বললাম তুই? আমি পিছনে তাকিয়ে দেখি কেউ নেই।

আমার খাবার আমার টেবিলেই। সে বললো, হুম রে আজ আর যাওয়া হলোনা বাইরে এত বৃষ্টি আমি তখন ভয় পেয়ে গেছি প্রচন্ড। আর পরক্ষণে মনে হলো এটা আমার হেলুসিনেশন নয় তো। কিন্তু মনের ভুল হওয়ার তো কথা না। আমার তো স্পষ্ট মনে আছে মিতু কিছুক্ষণ আগেই আসলো। এমন সময় নীলিমা বললো, আমি এখন ঘুমাবো রে, খুব ঠান্ডা করছে। তখন সে লেপ কাথা মুড়ে শুয়ে পড়লো।

আমার মাথায় যেন কিছুই কাজ করছেনা। ভয়ে আমার হাত পা কাঁপছে। আর সেই সময় আবার দরজা ধাক্কানো শুরু। আমি ভয়ে ভয়ে দরজা খুললাম, দেখলাম পাশের রুমের পিংকি দি। খুবই ভয়ার্ত আর কান্নার স্বরে আমাকে বললো, মিতু , নীলু আর নেই রে । চৌরাস্তায় যাওয়ার রাস্তায় সিনেমা হলের সামনে একটা বাসের নিচে চাপা পড়ে মারা গেছে। সবাই যাচ্ছে। তুই ও চল বলতে বলতে দিদির গলা শুকিয়ে যাচ্ছিলো। আমি ২০০০ ভোল্টের শক খেলাম যেন। আমি বললাম কিন্তু কিন্তু টিন্তু না, তাড়াতাড়ি চল বলেই আমার হাত ধরে টানতে লাগলো। আমি সেই মূহুর্তে পিছনে তাকিয়ে দেখলাম নীলুর পুরো শরীরে রক্তমাখা, মাথা টা কেমন বিকৃতি রুপ ধারণ করছে। বিছানায় সুখাসনে বসে আমার দিকে লাল চোখে তাকিয়ে আছে। এটা দেখে ভয়ে আমি মরে যাওয়ার উপক্রম ।আমি সাথে সাথে রুম থেকে বেরিয়ে যাই।

আর বাইরে সবাইকে সিনেমা হলের দিকে যেতে দেখলাম। আমি কাউকে কিছুই বলিনি এই ঘটনার ব্যাপারে। হালকা হালকা বৃষ্টি তখনও। আমরা ভিজতে ভিজতে সেখানে গেলাম । ভয়ে আমার হাত পা সব অবশ হয়ে এসেছে। গিয়ে দেখলাম লোকজন গোল হয়ে তার লাশ দেখছে। আমি গিয়ে দেখলাম নীলু নিথর হয়ে রাস্তায় পড়ে আছে, আর ওর মাথাটা থেতলে গেছে যা আমি রুমেই দেখেছি। আর হঠাত আমার চোখ গেল নারিকেল গাছটার দিকে । দেখলাম নীলু সেই গাছে বসে আছে।আমার দিকে তাকিয়ে আছে। তার দেহ থেকে টপ টপ করে রক্ত পড়ছে। আর নীলু আমার দিকে একপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। তার চুলগুলো গলার দুপাশে জড়ানো ছিলো।

আমি দেখে ভয়ে কাঁপতে শুরু করি। এটা দেখে পিংকি দি আমার এমন করার কারণ জানতে চাইলো কিন্তু আমার মুখ দিয়ে কথাই বেরুচ্ছিলো না। আমি শুধু আঙ্গুল উঁচিয়ে নারিকেল গাছের দিকে দেখাই। আর ওরা কিছুই দেখতে পায়না কিন্তু আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম, নীলু আমার দিকে রক্ত বর্ণ চোখ নিয়ে তাকিয়ে আছে। পরে আর আমার কিছুই মনে নেই। কিভাবে যেন আমার দু চোখ বন্ধ হয়ে এলো। পরে দিনের বেলা চোখ খুলে পিংকি দির বিছানায়। আমার পরিবারের সবাই আছে আর মেস এর সবাই আছে। আমি সবাইকে সব ঘটনা খুলে বলি।এরপর আমায় বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরে আমি ঐ মেস ছেড়ে কলেজ হোস্টেলে উঠি!

গল্পগুলো আপনাদের কেমন লেগেছে নিচের কমেন্ট এর মাধ্যমে অবশ্যই জানিয়ে দেবেন। এই ধরনের ভয়ঙ্কর কোন ঘটনা আপনাদের মাঝে ঘটে থাকলে সেগুলো কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দিতে পারেন। আমরা চেষ্টা করব আপনাদের গল্পটি আমাদের পোস্টের মধ্যে যোগ করার। এছাড়াও এই গল্প সংক্রান্ত কোন প্রশ্ন থাকলে আপনারা অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানিয়ে দিতে পারেন। সময় ধরে আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button