ইসলামিক

সূরা আল কাফিরুন বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত

আসসালামুআলাইকুম প্রিয় পাঠক বন্ধু আশা করি ভাল আছেন। ইসলাম বিষয়ক আরেকটি আলোচনায় আপনাকে স্বাগতম। আজকের আলোচনায় আমরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সূরা এর বিষয়ে কথা বলবো। আজকের আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারবেন সূরা আল কাফিরুন এর বাংলা উচ্চারণ অর্থ ও ফজিলত সম্পর্কে। অনেকেই রয়েছেন যারা আরবি পড়তে পারেন না এক্ষেত্রে অনলাইন থেকে সূরাগুলোর বাংলা উচ্চারণ ও অর্থ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। সুতরাং এর জন্য তারা অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকেন তাইতো এমন ব্যক্তিদের সহযোগিতায় আমরা বেশকিছু সুরা বাংলা উচ্চারন অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছি আপনাদের।

এবং আজকে সূরা আল কাফিরুন এর বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে এই সূরাটির গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো প্রদান করব জানতে পারবেন সূরা আল কাফিরুন আরবি এবং বাংলা উচ্চারণের সাথে সেই সাথে অনেকেই সূরা গুলোর অর্থ বাংলায় পড়তে আগ্রহী হয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে উভয় বিষয়ে আজকের আলোচনা। আলোচনার সাথে থাকলে অবশ্যই আপনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

সূরা আল কাফিরুন বাংলা উচ্চারণ

আপনারা যারা সূরা আল কাফিরুন এর বাংলা অনুবাদ করেছেন অর্থাৎ বাংলা উচ্চারণে পড়তে আগ্রহী তারা অবশ্যই আমাদের এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে উপকৃত হবেন। প্রতিদিন বিপুলসংখ্যক মানুষ ইসলাম বিষয়ে অনুসন্ধানে অনলাইনে সহযোগিতা নিয়ে থাকেন বর্তমান সময়ে বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকেন মানুষজন এ ক্ষেত্রে অনেকেই জ্ঞান অর্জন কিংবা শিক্ষা অর্জনের জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করে থাকেন। তাইতো আজকের আলোচনায় সূরা আল কাফিরুন এর উচ্চারণ দিয়ে আপনাদের সহযোগিতা করছে নিচে সূরা আল কাফিরুন এর বাংলা উচ্চারণ ও আরবী প্রদান করা হয়েছে।

بِسْمِ اللّهِ الرَّحْمـَنِ الرَّحِيمِ
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
কু’ল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন ৷
বলুন, ‘হে কাফিররা!
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
লাআ বুদু মা তা’আবুদুন ৷
আমি তার ‘ইবাদাত করি না যার ‘ইবাদাত তোমরা কর।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
অলা আনতুম আবিদুনা মা আ’বুদ ৷
এবং তোমরাও তাঁর ‘ইবাদাতকারী নও যাঁর ‘ইবাদাত আমি করি।
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
অলা আনা আবিদুম মা আবাত্তুম ৷
এবং আমি ‘ইবাদাতকারী নই তার যার ‘ইবাদাত তোমরা করে আসছ।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
অলা আনতুম আবিদুনা মা আ’বুদ ৷
তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
লাকুম দিনুকুম অলিয়া দিন ৷
তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।

সূরা আল কাফিরুন অর্থ ও ফজিলত

এই সূরাটির অর্থ জানতে আগ্রহী ব্যক্তিগণ এখান থেকে এর অর্থ সম্পর্কে জানতে পারবেন। অর্থ প্রদানের পাশাপাশি আমরা গুরুত্ব দিয়েছি সূরাটির ফজিলত সম্পর্কে এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য অবশ্যই আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি আমরা। সুতরাং প্রথমত আপনাদের সূরা আল কাফিরুন এর অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেছে সূরাটির অর্থ প্রদান করা হলো।

সূরা আল কাফিরুন পাঠের বিশেষ ফজিলত রয়েছে। বিভিন্ন হাদীসে এ সূরার বেশ কিছু ফাযীলত বর্ণিত হয়েছে। আসুন তা জেনে নেই।
১. জাবের রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাওয়াফের দু’ রাকা‘আত সালাতে ‘কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন ও কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ পড়তেন।” [মুসলিম; ১২১৮]
২. ঘুমানোর পূর্বে সূরা কাফিরুন পাঠে রাসূল সালাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম বলেছেন। নবীজি বলেন, ‘যখন শয্যা গ্রহণ করবে তখন পাঠ করবে ‘ক্বুল ইয়া আইয়্যূহাল কাফেরূন’- শেষ পর্যন্ত তা পাঠ করবে। কেননা উহার মধ্যে শির্ক থেকে মুক্ত হওয়ার ঘোষণা রয়েছে।’ (তবরাণী শরীফ)

৩. আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু বলেন, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ ‘কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন ও কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ দু’টি সূরা দিয়ে ফজরের সুন্নাত সালাত আদায় করেছেন”। [মুসলিম; ৭২৬]
৪. ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, “রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে ফজরের পূর্বের দু’ রাকা‘আতে এবং মাগরিবের পরের দু’রাকাআতে এ দু’ সূরা পড়তে বিশোর্ধ বার বা দশোর্ধ বার শুনেছি।” [মুসনাদে আহমাদ;২/২৪] অন্য বর্ণনায় এসেছে, “চব্বিশোর্ধ অথবা পঁচিশোর্ধবার শুনেছি”। [মুসনাদে আহমাদ;২/৯৫]
৫. ইবনে উমর রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা বলেন, “আমি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে এক মাস পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি তিনি ফজরের পূর্বের দু’ রাকাআতে ‘কুল ইয়া আইয়ুহাল কাফিরুন ও কুল হুয়াল্লাহু আহাদ’ এ দু’সূরা পড়তেন।” [তিরমিয়ী; ৪১৭, ইবনে মাজাহ; ১১৪৯, মুসনাদে আহমাদ; ২/৯৪]

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button