স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য । অনেকেই রয়েছে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানগুলোতে বক্তব্য রাখেন। এদের মধ্যে কিছু সংখ্যক মানুষ রয়েছে যারা বক্তব্যের সাথে অভ্যস্ত নয় এক্ষেত্রে কিভাবে বক্তব্য শুরু করবেন এবং কিভাবে শেষ করবেন এ বিষয়টি বুঝতে পারে না। এমন অবস্থায় অনেকেই অনলাইনে সহযোগিতা নিয়ে থাকেন অর্থাৎ অনলাইন ভিত্তিক অনেক বক্তব্য রয়েছে যেগুলো স্বাধীনতা দিবসের উপর ভিত্তি করে লেখা। তেমনি কিছু সুন্দর বক্তব্য এখানে আমরা তুলে ধরব আশাকরি আপনারা এখান থেকে এ ধরনের বক্তব্য গুলো মুখস্ত করে আপনাদের অনুষ্ঠানে কিংবা প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবেন।
সুতরাং আপনারা যারা স্বাধীনতা দিবস সংক্রান্ত বক্তব্য বিষয়ে জানার জন্য আগ্রহের সাথে আমাদের ওয়েবসাইটটিতে অবস্থান করছেন তারা এখান থেকে উপকৃত হতে পারবেন এর কারণ আমরা স্বাধীনতা দিবসের উপর ভিত্তি করে সুন্দর ও আকর্ষণীয় কিছু বক্তব্য প্রদান করব। সুতরাং এই বিষয়ে তাদের বক্তব্যের প্রয়োজন রয়েছে আমাদের সাথে থেকে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করুন।
স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বক্তব্য
আপনাদের সহযোগিতার উদ্দেশ্যে আমরা কিছু সেরা বক্তব্য প্রদান করছি। অনেক সময় ও শ্রম এর মধ্য দিয়ে এই বক্তব্য গুলো তৈরিতে আমরা সক্ষম হয়েছি। আশা করছি এই ওয়েবসাইটে উল্লেখিত বক্তব্য গুলো আপনাদের ভালো লাগবে ব্যবহার করতে পারবেন আপনাদের স্বাধীনতা দিবস সংক্রান্ত উৎসবে। নিচে বেশ কিছু বক্তব্য উল্লেখ করা হল সেখান থেকে আপনার পছন্দের বক্তব্যটি মুখস্ত করে উপস্থাপন করতে পারেন।
আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। বাঙালি জাতির জন্যে এক বিশেষ দিন। ১৯৭১ সালের এ দিনে রচিত হয়েছিল এক গৌরবময় ইতিহাস। এ ইতিহাস আমাদের ঐক্য ও সংহতির। এ ইতিহাস আমাদের দুর্বার চেতনার। ১৯৭১ সালের এ দিনে বাঙালি জাতি ছুড়ে ফেলেছিল প্রায় দুই যুগের পাকিস্তানি শোষণের শৃঙ্খল, নিজেদের ঘোষণাকরেছিল স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতি হিসেবে। সেদিন প্রমাণিত হয়েছিল আমরা দেশের আয়তনের বিচারে ছোট হতে পারি, কিন্তু জাতি হিসেবে আমরা মোটেও ছোট নই।
পাকিস্তানি শাসকচক্রের অব্যাহত অত্যাচারের বিরুদ্ধে বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ১৯৭১- এর ২৬ মার্চ তারিখ থেকে সূচনা হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের সে ছিল সত্যিকার অর্থে এক অসম লড়াই, সমরাস্ত্রে সজ্জিত শক্তিশালী পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বাঙালির অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। এ লড়াইয়ে বাঙালির মন্ত্র ছিল তাদের চেতনা এবং দৃঢ় সংহতি।
স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম । উপস্থিত ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অত্র প্রতিষ্ঠান কর্তিক আয়োজিত আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানিত সভাপতি , প্রধান অতিথি , বিশেষ অতিথি , শ্রদ্ধেয় শিক্ষক বৃন্দ , ছাত্র – ছাত্রী বৃন্দ সবার প্রতি আমার সালাম ও শুভেচ্ছা আসসালামু আলাইকুম ।
আজ ২৬ শে মার্চ , মহান স্বাধীনতা দিবস । ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার পূর্ব আকাশে রক্ত লাল হয়ে উদিত হয়েছিল একটি নতুন সূর্য ,বাংলার আকাশে উড়েছিল লাল – সবুজের পতাকা । বিশ্বের বুকে জন্ম নিয়েছিল বাংলাদেশ নামক নতুন একটি দেশ ।
স্বাধীনতা তুমি ফুলের সুবাস কোকিলের কুহুতান তোমায় আনতে দিয়েছি মোরা ৩০ লক্ষ পরাণ।
আমরা কিভাবে আমাদের প্রিয় স্বাধীনতা পেলাম সেই সম্পর্কে কিছু কথা না বললেই নয় ।
আমি আমার বক্তব্যের শুরুতে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার মহান স্থপতি , জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ।
সাথে সাথে আরও স্মরণ করছি বাংলার সন্তানদেরকে । যারা স্বাধীনতার যুদ্ধে জীবন দিয়ে আমাদেরকে উপহার দিয়েছিলেন । একটি ভূখণ্ড একটি দেশ যার নাম বাংলাদেশ ।
বাংলাদেশ ভারত পাকিস্তান ছিল একটি রাষ্ট্র , যার নাম ছিল পাক – ভারত । ১৯৪৭ সালের ১৫ ই আগস্ট ভারত আলাদা রাষ্ট্র হওয়ার পর ।
আজকের বাংলাদেশকে বলা হতো পূর্ব পাকিস্তান । আর বর্তমান পাকিস্তানকে বলা হতো পশ্চিম পাকিস্তান।
পাকিস্তান রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষমতা পশ্চিম পাকিস্তানীদের হাতে থাকায় পূর্ব পাকিস্তানের লোকজন মানে আমরা কোন অধিকার পারছিলাম না ।
তারপর থেকেই পূর্ব – পাকিস্তানের সাথে পশ্চিম পাকিস্তানিদের যুদ্ধের সূচনা শুরু হয় ।
পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে আমার দেশের সোনার ছেলেরা মাতৃভাষা ছিনিয়ে আনে উর্দু ভাষার পরিবর্তে ঐ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের কাছ থেকে।
তারপর থেকেই পাকিস্তানের গটফাদার জুলফিকার আলী ভুট্টো , ইয়াহিয়া খান , মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ , টিক্কা খান , বাঙ্গালীদের জন্য নানান প্রকার ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকেন।