টিপস

৭-ই মার্চের ভাষণ, ৭ মার্চের ভাষণ তাৎপর্য

সম্মানিত পাঠক বন্ধু সবার প্রতি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আজকে আপনারা যারা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে অবস্থান করছেন তাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি ঐতিহাসিক ভাষণ। যে দিনটি ঘিরে আজকের এই পোস্ট এই দিনটি সম্পর্কে আমরা সকলেই জানি এই দিনের ইতিহাস সম্পর্কে জানি। এই দিনটি একটি দিবসে পরিণত হয়েছে যেটিকে নাম দেয়া হয়েছে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস।

এই দিবস সম্পর্কিত একটি ভাষণ রয়েছে যেটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রেসকোর্স ময়দানে দিয়েছিলেন 18 মিনিট। যেটি একটি ঐতিহাসিক ভাষণ। আপনারা যারা এই ভাষণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী এ ভাষণটি সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করেছেন তাদেরকে আন্তরিক শুভেচ্ছা। এর কারণ যারা বাংলাকে ভালবাসে তাদেরকে আমরা ভালোবাসি। যারা বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসেন তাদেরকে পুরো বাঙালি জাতি ভালোবাসে। ছাত্র থেকে শুরু করে পেশাজীবী মানুষ প্রায় সকল বয়সের মানুষ এই ভাষণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী। এক্ষেত্রে এই ভাষণটি সম্পর্কে জানার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করেন। অবশ্যই বাঙালি হিসেবে এই ভাষণটি সম্পর্কে জানার প্রয়োজন রয়েছে। যারা ভাষণটি সম্পর্কে এখনো অবগত নন তারা নিচের দেওয়া তথ্য থেকে ভাষণটি সংগ্রহ করতে পারেন।

৭ ই মার্চের ভাষণ

এই ভাষণটি একটি ঐতিহাসিক ভাষণ। বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণার অস্ত্র। জাতিকে জাগ্রত করতে এই একটি ভাষণের যথেষ্ট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই ভাষণটি দিয়ে বাঙালি জাতির মনে স্বাধীনতার চেতনা দিয়েছেন। সেই ভাষণের উপর ভিত্তি করে হাজারো বাঙালি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হয়েছে এবং পরিশেষে দেশ স্বাধীন হয়েছে। শ্রদ্ধা জানাই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি। নিচে ভাষণটি উল্লেখ করা হয়েছে।

সাতই মার্চের ভাষণ ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দের ৭ই মার্চ ঢাকার রমনায় অবস্থিত রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) অনুষ্ঠিত জনসভায় শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক প্রদত্ত এক ঐতিহাসিক ভাষণ। তিনি উক্ত ভাষণ বিকেল ২টা ৪৫ মিনিটে শুরু করে বিকেল ৩টা ৩ মিনিটে শেষ করেন। উক্ত ভাষণ ১৮ মিনিট স্থায়ী হয়।

ভাষণ: আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন। আমরা আমাদের জীবন দিয়ে চেষ্টা করেছি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, রংপুরে আমার ভাইয়ের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। আজ বাংলার মানুষ মুক্তি চায়, বাংলার মানুষ বাঁচতে চায়, বাংলার মানুষ তার অধিকার চায়। কি অন্যায় করেছিলাম, নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ সম্পূর্ণভাবে আমাকে আওয়ামী লীগকে ভোট দেন। আমাদের ন্যাশনাল এসেম্বলী বসবে, আমরা সেখানে শাসনতন্ত্র তৈয়ার করবো এবং এই দেশকে আমরা গড়ে তুলবো, এদেশের মানুষ অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পাবে।

কিন্তু দুঃখের বিষয়, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, তেইশ বৎসরের করুণ ইতিহাস বাংলার অত্যাচারের, বাংলার মানুষের রক্তের ইতিহাস। তেইশ বৎসরের ইতিহাস মুমূর্ষু নরনারীর আর্তনাদের ইতিহাস; বাঙলার ইতিহাস এদেশের মানুষের রক্ত দিয়ে রাজপথ রঞ্জিত করার ইতিহাস। ১৯৫২ সালে রক্ত দিয়েছি। ১৯৫৪ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করেও আমরা গদিতে বসতে পারি নাই। ১৯৫৮ সালে আইয়ুব খান মার্শাল ল’ জারি করে দশ বৎসর পর্যন্ত আমাদের গোলাম করে রেখেছে। ১৯৬৬ সালে ছয়দফা আন্দোলনে ৭ই জুনে আমার ছেলেদের গুলি করে হত্যা করা হয়ে

৭ই মার্চের ভাষণের বৈশিষ্ট্য

  • সামগ্রিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা
  • পশ্চিম পাকিস্তানী রাজনীতিকদের ভূমিকার ওপর আলোকপাত;
  • সামরিক আইন প্রত্যাহারের দাবি জানানো;
  • অত্যাচার ও সামরিক আগ্রাসন মোকাবিলার জন্য বাঙালিদের আহ্বান জানানো;
  • দাবী আদায় না-হওয়া পর্যন্ত পূর্ব পাকিস্তানে সার্বিক হরতাল চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত প্রদান;
  • নিগ্রহ ও আক্রমণ প্রতিরোধের আহ্বান এবং বাঙালিকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button