টিপস

গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার নিয়ম

গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার নিয়ম: সুপ্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আজকে আমরা আপনাদের সকলের উদ্দেশ্যে আমাদের ওয়েবসাইটের গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের আজকের এই পোস্টটি হচ্ছে গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার নিয়ম অর্থাৎ আমরা আজকে আপনাদের মাঝে গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার নিয়ম গুলো জানাবো। অনেক সময় দেখা যায় অনেকের গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার প্রয়োজন পড়ে কিন্তু তাদের গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার সঠিক নিয়ম কানুন সম্পর্কে কোন ধারণা নেই বললেই চলে। এজন্যই আমরা আজকে আমাদের এই পোস্টটিতে নিয়ে এলাম গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার নিয়ম সম্পর্কিত সকল তথ্য। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্টটি সংগ্রহ করলে গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার সকল নিয়ম জানতে পারবেন। আপনি আপনার প্রয়োজনে আমাদের আজকের এই পোস্টটি কাজে লাগাতে পারবেন। তাই আপনারা যারা গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করেন নিয়মগুলো সংগ্রহ করতে আগ্রহী তারা আমাদের আজকের এই পোস্টটি সংগ্রহ করুন।

গাড়ি মালিকানা চেঞ্জ বলতে একটি গাড়ির পূর্বের মালিক থেকে পরবর্তী নতুন মালিক এর কাছে মালিকানা ট্রান্সফার করাকে বুঝিয়ে থাকে। গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজন পড়ে। অনেক সময় দেখা যায় সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়ি ক্রয় কিংবা গাড়ির মালিকের মৃত্যুর কারণে গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করতে হয়। কেননা এটি একটি ঝামেলা মুক্ত নিরাপদ ব্যবস্থা। গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার বিষয়টি বর্তমান সময়ে সকলের মাঝে ব্যাপক হারে পরিচিতি পেয়েছে। অনেকেই অর্থনৈতিক ভাবে কম সচ্ছল হওয়ার কারণে তারা নতুন গাড়ি পরিবর্তে কারো ব্যবহৃত কোন পুরনো গাড়ি কিংবা সেকেন্ড হ্যান্ড গাড়িগুলো শোরুম থেকে ক্রয় করে থাকে। এক্ষেত্রে তাদের অবশ্যই পূর্ববর্তী মালিকের থেকে গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন বা চেঞ্জ করতে হবে। গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার ক্ষেত্রে কিছু শর্ত রয়েছে যা পালন করার মাধ্যমে একটি গাড়ির পূর্ববর্তী মালিকানা থেকে পরবর্তী নতুন মালিকের কাছে গাড়িটি হস্তান্তরিত করা হয়। এটি বাংলাদেশ সরকারের একটি সুরক্ষিত পদক্ষেপ।

গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার নিয়ম

অনেকে অনলাইনে গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার নিয়ম গুলো জানার জন্য অনুসন্ধান করে থাকে। আমরা আজকে তাদের কথা ভেবে নিয়ে এসেছি আমাদের এই পোস্টে মালিকানা চেঞ্জ করার বেশ কিছু নিয়ম। আপনারা আমাদের আজকের এই পোস্ট থেকে গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার নিয়ম গুলো সংগ্রহ করে আপনি আপনার প্রয়োজনে কাজে লাগাতে পারবেন। আমাদের আজকের এই গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার নিয়ম গুলো আপনার চারপাশের পরিচিত বন্ধুবান্ধব আত্মীয়দের মাঝে শেয়ার করে দিতে পারবেন। আপনার শেয়ারের মাধ্যমে আপনার চারপাশে সকলেই গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার এই সুরক্ষিত পদক্ষেপ একটি সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বুঝতে পারবে। নিচে গাড়ির মালিকানা চেঞ্জ করার নিয়ম গুলো আপনাদের মাঝে প্রকাশ করা হলো:

ক্রেতার করণীয়ঃ

১। পূরণকৃত ও স্বাক্ষরিত ‘টিও’ ও ‘টিটিও’ ফরম; [এ দু’টি ফরমসহ অন্যান্য ফরম বিআরটিএর ওয়েবসাইটের DOWNLOAD FORMS থেকে পাওয়া যাবে]

২। প্রয়োজনীয় ফি জমার রশিদ;

৩। ভাড়ায় চালিত নয় এমন কার, জিপ, মাইক্রোবাস-এর ক্ষেত্রে ক্রেতার ই-টিআইএন সনদের কপি।

৪। মূল রেজিস্ট্রেশন সনদ (উভয় কপি) অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এর কপি;

৫। ছবিসহ নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ওয়ারিশগণের হলফনামা [একাধিক ওয়ারিশ থাকলে এবং একজনের নামে মালিকানা প্রদান করা হলে অন্যান্য ওয়ারিশগণ কর্তৃক স্ট্যাম্পে আর একটি হলফনামা দিতে হবে];

৬। সংশ্লিষ্ট নমুনা স্বাক্ষর ফরমে ক্রেতার নমুনা স্বাক্ষর এবং ইংরেজীতে নাম, পিতা/স্বামী’র নাম, পূর্ণ ঠিকানা, ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজের রঙ্গীন ছবিসহ সকল তথ্য পূরণকৃত ফরমের কপি , তবে ক্রেতা যদি ব্যক্তি না হয়ে কোন প্রতিষ্ঠান হয় তাহলে, উপরে বর্ণিত কাগজপত্রসহ (হলফনামা ব্যতিত) অফিসিয়াল প্যাডে গাড়ী বিক্রয়ের বিষয়টি  বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন (বিআরটিএ) কর্তৃপক্ষকে একটি পত্র প্রদান করে গাড়ীর মালিকানা পরিবর্তনের বিষয়টি জানাতে হবে।

 বিক্রেতার করণীয়ঃ

১। ফরম ‘টিটিও’ এবং বিক্রয় রশিদে স্বাক্ষর;

২। বিক্রেতার ছবিসহ বিক্রয় হলফনামা;

৩। বিক্রেতা কোম্পানী হলে কোম্পানীর লেটার হেড প্যাডে ইন্টিমেশন, বোর্ড রেজুলেশন ও অথরাইজেশন পত্র প্রদান;

৪। মোটরযানটি ব্যাংক অথবা অন্য কোন প্রতিষ্ঠানের নিকট দায়বদ্ধ থাকলে দায়বদ্ধকারী প্রতিষ্ঠানের ঋণ পরিশোদ সংক্রান্ত ছাড়পত্র সংগ্রহ করে তা দাখিল করা;

ওয়ারিশ সূত্রে মালিকানা বদলীর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:

১। পূরণকৃত ও স্বাক্ষরিত ‘টিও’ ও ‘টিটিও’ ফরম [এ দু’টি ফরমসহ অন্যান্য ফরম যা বিআরটিএ’র ওয়েবসাইটের DOWNLOAD FORMS থেকে পাওয়া যাবে];

২। কোর্ট/স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ওয়ারিশ সংক্রান্ত সনদ;

৩। প্রয়োজনীয় ফি জমা দানের রশিদ;

৪। ভাড়ায় চালিত নয় এমন কার, জিপ, মাইক্রোবাস-এর ক্ষেত্রে একাধিক ওয়ারিশ থাকলে প্রথম ওয়ারিশের ই-টিআইএন সনদের কপি।

৫। মূল রেজিস্ট্রেশন সনদের উভয় কপি (Car and house) অথবা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট এর কপি;

৬। ছবিসহ নন-জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে ওয়ারিশসূত্রে মালিকানা প্রাপ্তি সংক্রান্ত ওয়ারিশগণের হলফনামা [একাধিক ওয়ারিশ থাকলে এবং একজনের নামে মালিকানা প্রদান করা হলে সেক্ষেত্রে অন্যান্য ওয়ারিশগণ কর্তৃক সকলের ছবিসহ নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে আরেকটি হলফনামা];

৭। নমুনা স্বাক্ষর ফর্মে নমুনা স্বাক্ষর এবং ইংরেজীতে নাম, পিতার/স্বামীর নাম, পূর্ণ ঠিকানা ও ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজের রঙ্গীন ছবিসহ ফরমের অন্যান্য তথ্য পূরণ;

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button