দিবস

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

প্রিয় ভিউয়ার্স আপনাদের সবাইকে আমাদের ওয়েবসাইটের পক্ষ থেকে শুভ নববর্ষের আগাম শুভেচ্ছার মাধ্যমে শুরু করছি আমাদের আজকের এই পোস্ট টি। আমাদের আজকের পোস্টটি হচ্ছে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কিত একটি পোস্ট। আমার এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাবে জানতে পারবেন। আমার আজকের এই পোস্ট টি আপনাদের কে পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে জানতে সাহায্য করবে। আমার আজকের এই পোস্ট টির মাধ্যমে আপনারা সহজেই বুঝতে পারবেন বাঙালির জীবনে পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব কতটুকু। আমার আজকের এই পোস্ট টি আপনাদের কে পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাবে জানতে এবং বুঝতে সাহায্য করবে। আমার পোস্টটির মাধ্যমে বাঙালির জীবনে পহেলা বৈশাখের গুরুত্ব ও তাৎপর্য বুঝতে পারবেন।

বাঙালি জাতির ইতিহাসে পহেলা বৈশাখ হলো শ্রেষ্ঠ তম একটি দিন। এই দিনটি উদযাপন করার মাধ্যমে আমরা বাংলা নতুন বছরকে স্বাগত জানিয়ে থাকি। পহেলা বৈশাখের মাধ্যমেই আমরা পুরনো বছরের সমস্ত দুঃখ কষ্ট কে বিদায় জানিয়ে নতুন বছরকে সাদরে গ্রহণ করি। পহেলা বৈশাখের এই দিনটি উপলক্ষে সারাদেশে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হয়। বৈশাখী মেলার আয়োজন কে প্রানবন্ত করার জন্য এই মেলায় বিভিন্ন রকম গান নাচ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। মেলায় বাঙালিরা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাবেচা করে থাকে।

এই মেলায় পান্তা ইলিশ খাওয়ার প্রচলন ও লক্ষ্য করা যায়। পহেলা বৈশাখের এই দিনটি আমরা হাসি ও আনন্দের সহিত বরন করে থাকি। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে আমরা একে অপরের সাথে শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় করে থাকি। পহেলা বৈশাখের এই দিনটি আমাদের প্রত্যেকের জীবনে গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। বাঙালি জাতির সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখের এই দিনটি অতি পুরনো। এই দিনটি আমাদের প্রত্যেকের জীবনে অপরিসীম ভূমিকা পালন করে। প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে পহেলা বৈশাখ অর্থাৎ শুভ নববর্ষের এই দিনটি চিরকাল স্মরনীয় হয়ে থাকবে।

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

পুরনো বছরের পালাবদল করে আবারো আমাদের মাঝে চলে এলো পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বাংলা বছরের প্রথম দিন। এই দিনটি আমাদের বাঙালি জাতির সংস্কৃতিতে কিভাবে এলো এটি জানতে চাইলে আমাদের অবশ্যই পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কে সুস্পষ্ট ভাবে জানতে হবে। বাঙালি জাতির সংস্কৃতিতে পহেলা বৈশাখের ইতিহাস অতি পুরনো। প্রাচীন কাল থেকেই পহেলা বৈশাখ উদযাপন করা হতো। পহেলা বৈশাখের এই দিনটি উদযাপন রীতি চালু হয়েছিল মুঘল সাম্রাজ্যের শাসনামলের সময় থেকেই। তৎকালীন সময়ে চৈত্র মাসের শেষ দিকে প্রত্যেকেই সব রকম বাকি বকেয়া খাজনা কর ও মাশুল পরিশোধ করতে বাধ্য থাকতো।

এরপর বৈশাখ মাসের প্রথম দিন অর্থাৎ পহেলা বৈশাখ বাংলা বছরের প্রথম দিনে ভুমির মালিকেরা তাদের নিজ নিজ এলাকার মানুষদের কে বিভিন্ন রকম মিষ্টি আপ্যায়ন করার মাধ্যমে এই দিনটি পালন করে থাকতো। মূলত সেখান থেকেই পহেলা বৈশাখের অর্থাৎ শুভ নববর্ষের যাত্রা ঘটে। তৎকালীন মুঘল সম্রাট আকবরের শাসনামল থেকে এই দিনটি অর্থাৎ পহেলা বৈশাখের উদযাপন শুরু হয়। যার ফলশ্রুতিতে আজ ও এপার বাংলা থেকে শুরু করে ওপার বাংলা পর্যন্ত পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই দিনটি বেশ জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে পালন করা হয়।

বাংলা বছরের প্রথম দিনটি উপলক্ষে বাঙালিরা একে অপরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে থাকে। পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানানোর সঠিক সময়সূচী সম্পর্কে একেক জন একেক রকম মত প্রকাশ করেছেন। অনেকেই বলছেন বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে বাংলা বছরের প্রথম দিন শুরু হয় ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই। এই সময় কে তারা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর সঠিক সময় মনে করেছেন।

আবার অনেকে মনে করেন ইংরেজি পঞ্জিকা অনুসারে রাত ১২টার সময় থেকে নতুন দিনের শুরু হয় অর্থাৎ এই সময় কে তারা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর সঠিক সময় মনে করেছেন। কিন্তু বাঙালির মনে একটা সংশয় তারা কোন সময়টি কে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানানোর সঠিক সময় মনে করবেন ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই নাকি রাত ১২টার পরের সময়টি কে। আসলে কোনটি সঠিক? যেহেতু আধুনিক বাংলা পঞ্জিকা গ্রেগরীয় বাংলা পঞ্জিকা অনুসরণ করে সেহেতু রাত ১২টার পর থেকে পহেলা নববর্ষের শুরু হয়। তাই তো আমাদের দেশে রাত ১২টার পর থেকে পহেলা বৈশাখের শুভেচ্ছা জানানো শুরু হয়ে থাকে।

প্রতি বছর পহেলা বৈশাখের উপলক্ষে রমনার বটমূলে ছায়ানটের গানের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পহেলা বৈশাখের অর্থাৎ বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে সূর্য উদয় হওয়ার সাথে সাথে নতুন বছরের মঙ্গল কামনায় রমনার বটমূলে বিভিন্ন রকম গান বাজনায় মুখরিত হয় স্থানটি। এই দিনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন রকম গান বাজনায় মুখরিত হয়ে নতুন বছরকে বরণ করে নেয়। এরপর থেকে সারা দেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করার তোড়জোড় শুরু হয়। পহেলা বৈশাখের এই দিনটি বাঙালির জীবনে সত্যি রোমাঞ্চকর একটি দিন। এই দিনটি বাঙালি জাতির সংস্কৃতি থেকে কখনো হারিয়ে যাবার নয়। আমরা শুভ নববর্ষের এই দিনটি পেয়ে সত্যিই অনেক গর্বিত। পহেলা বৈশাখের এই দিনটি আমাদের প্রত্যেকের জীবনে চিরকাল স্মরনীয় হয়ে থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button