ফ্রিল্যান্সিং

ফাইবার সম্পর্কে কিছু অভিজ্ঞতা ।

আমি গত ৩ বছর যাবত ফাইবার এ কাজ করি ।এই প্রথম এ রকম আমার অভিজ্ঞতা ।
গত জানুয়ারিতে এক ক্লাইন্ট এর কাজ ৫ স্টার দিয়ে শেষ হয়। বাজেট ছিল ৩০০ ডলার এবং ক্লাইন্ট এর ফিডব্যাক টাও খুব চমৎকার লিখেছিল। একদিন পরে ক্লাইন্ট ফিরে এসে বলে তার সেইম ডকুমেন্ট এ ৩ টা টাকার এমাউন্ট চেঞ্জ করে দিয়ে আর একটা কপি দিতে হবে এবং এর জন্য ২০ ডলার অফার করে। এই ২০ ডলারের কাজ নিয়ে গিগের এভারেজ সেলিং প্রাইজটা কমাতে চাইনি তাই ফ্রি করে দিব বলে দিলাম। ক্লাইন্ট খুশি। একদিন পরে আবার আসল। ফ্রি কাজ টায় আরও কিছু চেঞ্জ আছে, করে দিলাম। একদিন পরে আবার চেঞ্জ দিল কিন্তু এইবার চেঞ্জের কাজ করতে গেলে ডকুমেন্ট এর প্রায় ৪৫% কাজ নতুন করে করতে হবে।বললাম ক্লাইন্টকে, সে এবার মুখ উল্টানো টাইপের কথা বলা শুরু করল। আমার নাকি কাজটা করে দেয়া উচিত। সে আরও কয় জনের সাথে কথা বলছে, এই কাজটা ২০ ডলারে অনেকে অফার দিয়েছে, এই সেই। অর্থাৎ৩০০ ডলার প্রথম কাজ টার জন্য খুব বেশি হয়ে গিয়েছে তাই দ্বিতীয় কাজটা সম্পূর্ণ ফ্রি করে দিতে হবে।
আমার জয়গা থেকে ফরমালি না করেই গেলাম এবং একটা পর্যায়ে ক্লাইন্ট কাষ্টোমার কেয়ারে কথা বলে ৩০০ ডলার পুরোটা রিফান্ড করে নেয়। জানি লাভ নেই, তারপর ও সাপোর্টে সব স্ক্রিনশট দিয়ে মেইল দিলাম। বেশ কয়টা মেইল চালাচালি হল। দিন শেষে হিসাব আগেরটাই। ফাইবার ১০০% বায়ার সাপোরটিভ মার্কেট, সুতরাং সব কথার শেষ কথা ক্লাইন্ট রাইট।
ভুলেই গিয়েছিলাম এই প্রোজেক্টটার কথা। গতকাল দেখি সাপোর্ট থেকে একই লোকের মেসেজ। মেসেজের বিষয়বস্তু অনেকটা এমন – আমার রিকোয়েস্টটা ট্রাষ্ট এন্ড সেফেটি ডিপার্টমেন্ট থেকে রিভিউ করা হয়েছে এবং সমঝোতা সরূপ আমাকে ২০০ ডলার মেইন ব্যাল্যান্স এ যোগ করে হয়েছে, না পেয়ে থাকলে তাদেরকে জানাতে। ইন্টারেস্টিং ছিল ব্যাপারটা। এমন কখনো দেখিনি গত ৩ বছরে। কৌতূহল বশত জনতে মেইল ব্যাক করলাম সাপোর্টে। জবাব এল – এই টাকা ক্লাইন্ট এর থেকে আসেনি, ফাইবার নিজের পকেট থেকে এই ২০০ ডলার দিয়ছে, ইন্টারেষ্টেং !
নিজের জয়গা থেকে রাইট থাকলে এবং যথেষ্ট প্রমাণ হাতে থাকলে কেন্সেল হওয়া কাজ এর জন্য সাপোর্টে যোগাযোগ করে দেখতে পারেন। আর ক্লাইন্ট এর সাইটে রেগুলার চেক দিতে পারেন। যদি কোনদিন দেখেন আপনার কেন্সেল হওয়া কাজ ক্লাইন্ট ব্যাবহার করেছে, সরাসরি ওই দেশের আইনে কপিরাইট মামলা করে দিবেন। যদি জিতে যেতে পারেন তাহলে জরিমানার টাকার পরিমাণ অনেক বেশী হবে। আবার যদি নিজে রাইট না থাকেন তাহলে ভাল বিপদে পরবেন শিউর। এমন কোনদিন ভাববেন না আমেরিকার পুলিশ বাংলাদেশে এসে আপনাকে খুঁজে কই পাবে। সুতরাং সাবধান।
 আমার মতে এই কাজটায় ডিস্কাউন্ট দিলে সর্বচ্চ ২০০$  নেয়া যেতে পারে তাই বলে ২০$ ? কিবোর্ড / মাউসের ও তো ভাই দাম আছে নাকি?

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button