টিপস

বিকাশ পিন লক হলে করণীয়| বিকাশ পিন পরিবর্তন|

বিকাশ পিন লক হলে করণীয়| বিকাশ পিন পরিবর্তন। প্রিয় ভিউয়ার্স আপনার ইতিমধ্যে আজকের পোস্টের বিষয় সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এই পোস্টে আমরা আপনাদের সামনে যে বিষয়টি সম্পর্কে আলোচনা করব তা হলো বিকাশ পিন সংক্রান্ত সকল তথ্য নিয়ে। সুতরাং বিকাশ ব্যবহারকারীদের জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট। বিকাশ হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম। আর আমরা সকলেই জানি মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম গুলো একটু কঠিন হয়ে থাকে। একারণেই বিভিন্ন সমস্যার কারণে বিকাশ পিন লক হয়ে যায়।

এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কি কি কারণে বিকাশ পিন লক হয়ে যায় । এছাড়াও এই পিন লক হলে আপনার করনীয় কি । কিভাবে লক হওয়া পিন আনলক করবেন। এবং যাতে পারবেন বিকাশের পাসওয়ার্ড অর্থাৎ পিন পরিবর্তনের নিয়ম। সুতরাং যারা এই বিষয়ে জানার জন্য আমাদের ওয়েবসাইটটিতে এসেছেন, তারা সঠিক ওয়েবসাইটে এসেছেন। এই সমস্যাগুলো নিয়ে যারা আমাদের ওয়েবসাইটটিতে এসেছেন তারা এখান থেকে সমাধান পেতে পারেন খুব সহজেই। এর জন্য আমাদের সাথে থাকুন এবং পুরো পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

বিকাশ খুবই জনপ্রিয় একটি মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম। আমাদের দেশে প্রায় সকল মানুষ এই মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম ব্যবহার করে থাকেন। লেনদেন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিকাশ এর ব্যবহার রয়েছে। যেমন বিল পে, বিভিন্ন ধরনের বিল প্রদানের ক্ষেত্রে বিকাশের জনপ্রিয়তা ব্যাপক। সুতরাং এই জনপ্রিয় মোবাইল ব্যাংকিং সিস্টেম সম্পর্কে আমাদের জানা উচিত। বিশেষ করে এর পিন অর্থাৎ পাসওয়ার্ড সম্পর্কে আমাদের সচেতন থাকা দরকার।

বিকাশ পিন লক হওয়ার কারন

বিকাশ পিন লক হওয়ার কারণগুলো অনেকেই জানিনা। বিকাশ ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই সকল নিয়ম-নীতি গুলো জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই নিয়মগুলো জানা থাকলে আমরা ভবিষ্যতে কখনো বিকাশ পিন লক হওয়ার সমস্যার সম্মুখীন হব না। সুতরাং সচেতন মানুষ হিসেবে অবশ্যই এই নিয়ম নীতি গুলো জানবো। এবং নিয়মকানুন মেনে বিকাশ ব্যবহার করবো। নিচে বিকাশের পিন লাগ হওয়ার কারণ গুলো দেওয়া রইল।

  • একটি বিকাশ অ্যাকাউন্ট পিন কোড সম্পর্কে বিকাশ গ্রাহক ভালো জানেন, কারন তিনি নিজেই নিজের পছন্দ মত পিন কোড সেট করে থাকেন।
  • আবার অনেক সময় আপনার বিকাশ পিন কোড জানেনা এমন কারো হাতে আপনার মোবাইলটি গেলে সম্ভাব্য পিন ছিন্তা করে তিন বার ভুল পিন প্রবেশ করালে আপনার বিকাশ অ্যাকাউন্ট লক হয়ে যাবে।
  • তবে, এখন বিকাশ পিন সেট করার নিয়ম আরও সহজ করেছে বিকাশ, এখন আপনি বিকাশ হেল্পলাইনে কল করা ছাড়ও আপনার পিন রিসেট করতে পারবেন।

বিকাশ পিন লক হলে করণীয়

আমরা উপরে পিন লক হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছি। কিন্তু ইতিমধ্যে যাদের পিন লক হয়ে গেছে তাদের করণীয় কি এই বিষয়গুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে এখানে। সুতরাং যাদের পিন লক হয়েছে তারা এখান থেকে করণীয় গুলো দেখে নেবেন। এছাড়াও এই পোষ্টের নিচে আমরা বিকাশ কাস্টমার কেয়ার নাম্বার এবং লাইভ চ্যাটের সুযোগ করে দিয়েছি। সেখান থেকে আপনি কাস্টমার কেয়ার এর নির্দেশনা অনুযায়ী আপনার পাসওয়ার্ডটি রিসেট অথবা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। সুতরাং বিকাশ ব্যবহারকারীদের জন্য এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করি। যারা বিকাশ পিন লক হলে করণীয় গুলো জানতে এসেছেন তারা এখান থেকে এই বিষয়গুলো জেনে নিন। নিচে এই বিষয়গুলো দেওয়া রয়েছে।

  • সর্বপ্রথম বিকাশের কাস্টমার কেয়ার নাম্বার রয়েছে অর্থাৎ 16247 নাম্বারে কল করুন
  • উপরে উল্লেখিত নাম্বারে কল করার পরে বিকাশের কাস্টমার প্রতিনিধি আপনার সাথে সম্পৃক্ত হবেন। উনাকে আপনার একাউন্টের পিন ব্লক হওয়ার কথা মেনশন করুন।
  • মনে রাখবেন, যে একাউন্টে পিন লক হয়েছে সেই বিকাশ অ্যাকাউন্ট নাম্বার বা সেই ফোন নাম্বার থেকে বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে কল করতে হবে।
  • যখনই যাদেরকেই সম্পর্কে অবগত করেন তখন তারা আপনার বিকাশ একাউন্ট তৈরির সময় আইডি কার্ডের নাম্বার এবং আইডি কার্ডে যে নাম আছে সেই নাম দিয়েছিলেন সে সম্পর্কে জানতে চাইবে।
  • এবার আপনি যদি তাদেরকে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সঠিকভাবে দিয়ে দিতে পারেন, তাহলে সহজেই তারা বিকাশ পিন আনলক করে দিবে।

বিকাশ পিন পরিবর্তন

আপনি কি আপনার বিকাশ এর বর্তমান পিন পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন ? তাহলে বিকাশ পিন পরিবর্তনের নিয়ম গুলো জেনে নিন এখান থেকে। সুতরাং যারা বিকাশের পিন পরিবর্তনের নিয়ম গুলো জানেন না এই বিষয়ে জানার জন্য অনলাইনে অনুসন্ধান করে আমাদের পোস্টটিতে এসেছেন তারা অবশ্যই এখান থেকে আপনার সমস্যার সমাধান দিতে পারেন। আমরা চেষ্টা করি আমাদের ভিউয়ার্স দের সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার। সুতরাং যারা এখান থেকে পাসওয়ার্ড অর্থাৎ পিন পরিবর্তনের নিয়ম গুলো সংগ্রহ করতে চান তারা নিজের চোখ রাখুন।

বিকাশ পিন পরিবর্তন
বিকাশ পিন পরিবর্তন

খুব সহজ পদ্ধতি অবলম্বন করে আপনার বিকাশের পিন পরিবর্তন করার নিয়ম নিচে দেওয়া হল।

১। *247# 

২। 5

৩। 3

৪। আগের পিন টা দিন

৫। নতুন পিন দিন

৬। নতুন পিন আবার দিন

তবে বিশেষভাবে মনে রাখতে হবে। বিকাশ সংক্রান্ত কোন প্রকার পাসওয়ার্ড পিন কোড অন্য কাউকে দিয়ে প্রতারিত হবেন না। যেকোন সমস্যার সামাধান নিজে করতে না পারলে নিকটস্থ বিকাশ কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে সাহতা নিতে পারেন। এক্ষেত্রে আপনার বিকাশ একাউন্টটি নিরাপদে থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button