দিবস

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ২০২৪, উক্তি, কবিতা, স্ট্যাটাস

১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস ২০২৪: ১৬ ডিসেম্বর উপস্থিত হয়েছে আমাদের মাঝে। 16 ডিসেম্বর মানেই আনন্দ উৎসব এবং প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতা বলার অন্যতম কারণগুলোর মধ্যে একটি হচ্ছে এই 16ই ডিসেম্বর উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতা কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। ১৬ই ডিসেম্বর হচ্ছে বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ ৯ মাস স্বাধীনতার পর আমরা বিজয় অর্জন করি যার মাধ্যমে আমরা পাই স্বাধীনতা। এই বিজয়কে কেন্দ্র করে ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস পালন করা হয়ে থাকে এবং সেই সময় থেকে বর্তমান সময়েও আগ্রহের সাথে এই দিবসটি পালন করা হয় বাংলাদেশে।

এক্ষেত্রে আজকের আলোচনায় আমরা দিবসটিকে কেন্দ্র করে গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু তথ্য উপস্থাপন করব আপনাদের মাঝে। সুতরাং আমাদের সাথে থাকার মাধ্যমে আপনি ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস ২০২২ উপলক্ষে গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে জানতে পারবেন বলে আশা রাখছি। আজকের আলোচনায় আমরা আপনাদেরকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা বার্তা কবিতা পিকচার ও ক্যাপশন দিয়ে সহযোগিতা করব। সুতরাং আমাদের সাথে থেকে আপনার প্রয়োজনীয় বিষয়ে যে কোন তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন এখান থেকে। আপনি চাইলে আমাদের সাথে থেকে বিজয় দিবসের সুন্দর ক্যাপশন গুলো সংগ্রহ করতে পারেন পাশাপাশি শুভেচ্ছা বার্তা রয়েছে যেগুলো স্ট্যাটাস কিংবা এসএমএস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। সেই সাথে বহুল অনুসন্ধানকৃত বিজয় দিবসের সেরা সুন্দর ছবিগুলো থাকছে আমাদের আজকের আলোচনায়।

বিজয় দিবসের উক্তি ২০২৪

বিজয় দিবস কে কেন্দ্র করে সুন্দর উক্তিগুলো ব্যবহার করা হয় অনেক ক্ষেত্রে। জ্ঞানী ব্যক্তিগণ বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে অনেক উক্তি প্রকাশ করেছেন যা সম্পর্কে জানার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে পাশাপাশি এই উক্তিগুলো আমাদের দেশপ্রেম বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করে। বিজয় দিবসের গুরুত্ব সম্পর্কে জানার জন্য অবশ্যই জ্ঞানী ব্যক্তিদের এই উক্তিগুলো সম্পর্কে জানতে হবে তাইতো আমরা আমাদের আলোচনা শুরুতে বিজয় দিবসের উক্তি দিয়ে সহযোগিতা করেছি।

  • “বিজয় যখন আরও বেশি অর্থবহ হয় তখন তা কেবল একজনের কাছ থেকে আসে না, অনেকের সম্মিলিত সাফল্য থেকে আসে। – হাওয়ার্ড শুল্টজ”
  • “সহজ বিজয়গুলি সস্তা। যারা কেবল লড়াইয়ের ফলস্বরূপ আসে তারাই মূল্যবান। – হেনরি ওয়ার্ড বিচার”
  • “বিজয় সবচেয়ে ধৈর্যশীল। – নেপোলিয়ন বোনাপার্ট”
    “বিজয় কেবল তাদের তৈরির জন্য আসে, এবং এটি গ্রহণের জন্য। – টম ক্ল্যান্সি”
  • “সমস্ত বিজয়ের গোপনীয়তা অপরিবর্তিতদের সংগঠনে থাকে। – মার্কাস অরেলিয়াস”
  • “সর্বোত্তম বিজয় হ’ল প্রতিপক্ষ যখন সত্যিকারের শত্রুতা হওয়ার আগে তার নিজের ইচ্ছার কাছে আত্মসমর্পণ করে। – সান তজু”
  • “জীবনে বিজয়ের জন্য, আমাদের লক্ষ্যতে মনোনিবেশ করতে হবে। – ল হোল্টজ”
  • “সহিংসতার দ্বারা বিজয় অর্জন ক্ষণিকের জন্য ও পরাজয়ের সমতুল্য। – মহাত্মা গান্ধী”
  • “বিজয় তাদের অন্তর্ভুক্ত যারা এটিকে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাস করে। – রান্ডাল ওয়ালেস”
  • “বিজয় হ’ল সমস্ত স্বপ্ন যা আপনার স্বপ্ন অর্জনে চলেছে তার স্বীকৃতি দেওয়া। – টমি হিলফিগার”
  • “যে ব্যক্তি লড়াই বন্ধ করতে অস্বীকার করে তার পক্ষে সর্বদা বিজয় সম্ভব হয়। – নেপোলিয়ন হিল”
  • ওরে বাছা, মাতৃকোষে রতনের রাজি, এ ভিখারী-দশা তবে কেন তোর আজি? যা ফিরি, অজ্ঞান তুই, যা রে ফিরি ঘরে!
    – মাইকেল মধুসূদন দত্ত

 

  • বাংলা ভাষা আহত হয়েছে সিলেটে আর নিহত হয়েছে চট্টগ্রামে
    – প্রমথ চৌধুরী
  • আমার মায়ের ভাষা এসেছে আমার অনেক ভাইয়ের রক্তের বিনিময়ে
    তাইতো আমরা বলি
    আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি
    আমি কি ভুলিতে পারি
  • ভাষা শহীদের বিনিময়ে পেয়েছি আমরা আমাদের মাতৃভাষা
    ধন্য হয়েছে এই বাংলা ধন্য হয়েছে আমরা কারন পেয়েছি আমরা বাংলা।
  • বাংলার দামাল ছেলেরা এনেছিল মাতৃভাষা বাংলা করে
    তাই সকল ভাষা শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
  • “প্রতিটি পদক্ষেপ ছিল একটি বিজয়, তাকে এটা মনে রাখতে হবে। – জর্জ স্যান্ডার্স”
  • “দৃষ্টি না থাকলে বিজয় হয় না। – লাইলাহ গিফটি আকিতা”
  • “বিজয়ী যোদ্ধারা প্রথমে জিতে এবং তারপরে যুদ্ধে যায়, পরাজিত যোদ্ধারা প্রথমে যুদ্ধে যায় এবং তারপরে জয়ের চেষ্টা করে। – সান তজু”
  • “সমবেদনা আত্মাকে তার সত্যিকারের বিজয়ের মুকুট দেয়। – আবারজানি”
  • “পরাজয়ের বিরুদ্ধে জয় রক্ষার জন্য বিজয়ী আইন তৈরি করেন। – টোবা বিটা”

বিজয় দিবসের কবিতা ২০২৪

বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে অনেকেই বিভিন্ন মজার মজার ছোট কবিতা বা ছড়া লিখেছেন। সেখান থেকে সুন্দর ও ছোট কিছু কবিতা আপনাদের মাঝে তুলে ধরার আগ্রহ নিয়েই আজকের আলোচনায় রয়েছি। আলোচনা সাপেক্ষে আপনাদেরকে বিজয় দিবসের সুন্দর এই কবিতা গুলো দিয়ে সহযোগিতা করব। ছোট ছোট কবিতার লাইনগুলো আপনি চাইলে এসএমএস স্ট্যাটাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। আমাদের দেশে অনেক ছোট কবি রয়েছে যারা অসম্ভব সুন্দর কবিতা লিখে থাকেন। তবে এমন কবিতাগুলো পড়ার সুযোগ পায় না অনেকেই তবে কবিতাগুলো আসলেই সুন্দর আপনারা আজকের কবিতা গুলো পড়লে এ বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হবেন।

১৬ ডিসেম্বর কবিতা

ফারহান বিল্লাহ

তপ্ত গরম

যুদ্ধ চরম

যেই দিনে ,

গর্জে ওঠে লক্ষ হাত

পেতে দিল বক্ষ হাত ।

যোদ্ধা বেশে

যুদ্ধ শেষে

তোমরা যারা রাঙলা দেশ

বিজয় দিয়ে বাংলাদেশ ।

করছি বরণ

করছি স্মরণ

এই দিনে ।

ষোলোই ডিসেম্বর

মঈন মুসতাকিম

দীর্ঘ ন’মাস যুদ্ধ শেষে

স্বাধীন হলো দেশ

স্বাধীন হলো সাজানো এই

শ্যামল পরিবেশ।

কেউ হারাল সতীত্ব আর-

কেউ ঝরাল ঘাম

বীর শহীদের রক্ত হলো

স্বাধীনতার দাম।

দেশ বাঁচাতে জীবন দিল

লক্ষ নারী-নর

আমরা পেলাম বিজয়মাখা

ষোলোই ডিসেম্বর।

বিজয় দিবসের কবিতা আবৃত্তি

স্বাধীনতার ছড়া

আকরাম সাবিত

যুদ্ধ করেছিলাম বলেই

পেলাম স্বাধীনতা-

হাসতে পারি

ভাসতে পারি

বলতে পারি কথা।

পড়তে পারি

লড়তে পারি

অনেক কিছু করতে পারি ভাই-

যুদ্ধে শামিল হয়েছিলাম তাই।

ইচ্ছে হলেই এক বিকেলে

ফাগুন এলে

পালক মেলে

ওই আকাশে উড়তে পারি

ঘুরতে পারি ছড়িয়ে আপন

ডানা,

নিজের মতন মুক্ত স্বরে

ধরতে পারি গানা।

কেউ করে না মানা।

স্বাধীনতা পেয়েছিলাম

বলে-

যখন-তখন হাত নাড়িয়ে

যাই হারিয়ে দস্যি ছেলের

দলে,

কখনোবা ভোর-বিহানে

পাখির কোলাহলে।

বিজয় দিবসের কবিতা ২০২৪

বিজয় আসে

শরিফ আহমাদ

একাত্তরে লড়াই যখন শুরু–

বীর বাঙ্গালি জাগে

ছোটে সবার আগে

জালিমের বুক কাঁপে দুরুদুরু ।

তুমুল লড়াই চলে দিনে রাতে–

পোড়ে কত বাড়ি

কাঁদে শিশু নারী

মুক্তিযোদ্ধা থাকে সবার সাথে ।

পাকহানাদার হটে তখন পিছু–

বিভিন্ন কৌশলে

আটকে ইঁদুর কলে

রাজাকার ও সঙ্গে ছিলো কিছু ।

লাখ শহীদের রক্ত নদী ঝরে–

নয়টি মাসের শেষে

সূর্য ওঠে হেসে

বিজয় আসে বাংলার ঘরে ঘরে ।

বিজয় কেতন

কিচিরমিচির পাখির সুরে উঠোন কোণে বসে

রোজ সকালে খোকন সোনা রঙের হিসাব কষে।

শিশির ভেজা মিষ্টি রোদের মায়ার পরশ মেখে

কিসের ছবি খোকন সোনা যাচ্ছো শুধুই এঁকে!

খোকার হাতে সবার চেনা দুইটা প্রিয় রঙ

কিন্তু মায়ের হয় না বোঝা খোকন সোনার ঠঙ।

ছবির আঁচড় দেখতে কেমন? ঠিক গোলাকার ডিম

তার উপরে আয়তক্ষেত্র দেখেই শরীর হিম!

খোকন সোনা মায়ের চোখে ক্যামনে দেবে ফাঁকি

কিসের ছবি বুঝতে মায়ের রইলো না আর বাকি।

ছবির গঠন দেখেই মায়ের চাঁদের হাসি গালে

কিসের ছবি? বিজয় কেতন সবুজ এবং লালে।

ঘুঘু পাখির বিজয়

একটি ঘুঘুর দুইটা ছানা তিড়িং বিড়িং নাচে

দূরের বনে বসতি তাদের শিউলী ফুলের গাছে।

হাসতো রোজই খেলতো রোজই ঘুরতো তারা বনে

বনটা তাদের মায়ের মতোই ভাবনা পুষে মনে।

একদা বনে আসলে শকুন করলো আদেশ জারি

থাকতে বনে রাখবে মনে আমার হুশিয়ারি।

কিন্তু ঘুঘুর বাচ্চা দুটো ভীষণ প্রতিবাদী

থাকবো নাকো রাজার শানে, এক কথা এক দাবি।

শুনেই শকুন চমকে উঠে দেখবো বেটা নবাব

রক্ত আগুন বুলেট ছুড়ে দিবোই কথার জবাব।

দেখবি তখন বুঝবি বাছা মরার কেমন সাধ

ঘুঘু ছানার কণ্ঠে তবু জয়ের প্রতিবাদ।

কিন্তু মায়ের হাজার-বারণ হৃদ মাজারে ভয়

ঘুঘু ছানার কণ্ঠে তবু জয় বাংলা জয়।

ছেলের মায়া প্রাণের মায়া আজকে মাগো থাক

বনটা জুড়ে রক্ত আগুন যুদ্ধে যাবার ডাক।

এমনি করে ঘুঘুর ছানা জয়ের মুকুট পরে

যুদ্ধ শেষে বীরের বেশে ফিরলো মায়ের ঘরে।

সেদিন থেকেই ওই পতাকা লাল-সবুজে আঁকা

বিজয় তুমি দেশ ও জাতির স্বপ্ন কাজলমাখা।

১৬ই ডিসেম্বর নিয়ে কবিতা | বিজয় দিবস কবিতা

ঘুম ভাঙ্গে রোজ

-সাজজাদ হোসাইন খান

বেগুন ফুলে প্রজাপতির হাসি

কোথায় আছে এমন মজার বাঁশি

ভর দুপুরে রাখালিয়া বাজায় হেসে হেসে,

ধানের ক্ষেতে টিয়া পাখির মেলা

আসমানে যার নীল ধবলের ভেলা

হেলে দুলে জমায় পাড়ি, পাহাড় ঘেঁষে ঘেঁষে।

জোছনা মাখা চাঁদের সাদা ডিম

রাত নিশীথে ঝরায় কেমন হিম

সিক্ত করে ফুলপরীদের রঙিন যত পাখা,

অনেক ভোরে সূর্যমামা হাঁটে

উদাস করা যোজন যোজন মাঠে

সাতটি রঙের চেরাগ যেন উপুড় করে রাখা।

সরষে ফুলে হলদে হিরণ নাচে

কোন সে দেশের এমন শোভা আছে

রূপেতে যার হাজার কবি শব্দেরই জাল বোনে,

মন উড়ে যায় মাছরাঙাদের ভিড়ে

পাতার ফাঁকে টুনটুনিদের নীড়ে

ঘুম ভাঙে রোজ মুয়াজ্জিনের দরাজ গলা শুনে।

স্বাধীনতার ঋণ

-রওশন মতিন

বিজয় রথে আসাদের শার্টে উড়িয়ে নিশান,

দুঃশাসনকে রুখে দিতে প্রতিবাদের ঐক্যতান।

এদেশটা কার, উত্তাল বাংলা জাগ্রত জনতার,

বীর ইসা খাঁ, সূর্যসেন, তিতুমির আর অগ্নিবীণার।

অকুতোভয় বঙ্গবন্ধু মুক্তচিত্ত অটল দীপ্ত,

বজ্রকণ্ঠে মুক্তির দিশা, স্বাধীনতার জন্য ক্ষিপ্ত।

যে রোদ্দুরে দস্যি ছেলে তেপান্তরে উড়ায় ঘুড়ি,

অবাক চোখে তাকিয়ে দ্যাখে, মুক্ত ডানার উড়াউড়ি,

সে কি জানে লাল-সবুজের এগিয়ে চলার বিজয় গাঁথা,

তার বুকে কি মেলছে ডানা লাল-সবুজের স্বাধীনতা।

দিন কি কেবল বদলে যাওয়া দিন বদলের দিন,

এই আলোতে উদ্ভাসিত বিজয় দীপ্ত স্বাধীনতার ঋণ।

 

বিজয় আমার

-এ কে আজাদ

বিজয় আমার

পতাকার রং

মানচিত্রের রেখা,

বিজয় আমার

আনন্দ ঘন

ভিটে-মাটি ফিরে দেখা।

বিজয় আমার

স্মৃতির মিনার

সৌধ চূড়ার গান,

বিজয় আমার

স্বাধীন দেশের

সুখভরা অফুরান।

 

স্বাধীনতা তুমি

-কাজী আবুল কাসেম রতন

স্বাধীনতা তুমি

বাংলা দেশের

বাংলা মায়ের

শুভেচ্ছা।

স্বাধীনতা তুমি

দাদুর মুখে

রূপকথারই

সু-কিচ্ছা

স্বাধীনতা তুমি

সূর্যে ভাষা

রক্তিম হেম।

স্বাধীনতা তুমি

মুক্তি সেনার

মুক্ত প্রেম।

স্বাধীনতা তুমি

উড়ে যাওয়া,

স্বাধীন পাখির

প্রত্যাশা।

স্বাধীনতা তুমি

প্রিয় জনতার

প্রেম প্রীতি জয়

ভালবাসা।

বিজয় দিবস

-মোস্তফা কামাল সোহাগ

ডিসেম্বরের ষোল তারিখ

বিজয় দিবস হয়

এই বিজয়টা ছিনে আনতে

লক্ষ প্রাণ ক্ষয়।

বিজয় দিবস এলে আমরা

দেশের গান গাই

রাজপথে বিজয় মিছিল

দেখে সুখ পাই।

বিজয় দিবসে বিজয় নিশান

দেখে মন ভরে

আনন্দে সব মাতোয়ারা

বাংলা মায়ের ঘরে।

যুদ্ধ করে জীবন দিয়ে

বিজয় আনলো যারা

সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সন্তান

ইতিহাসে তারা।

আলো ও আঁধার

-ফরিদ আহমদ ফরাজী

আঁধার আলো মিশলেই কালো

আলো শুধুই আলো

আঁধারে কে থাকতে চায়?

আলোর প্রদীপ জ্বালো।

হালাল হারাম মিললেই হারাম

হালাল শুধুই হালাল

হালাল কে পছন্দ করেন

আল্লাহ জাল্লি-জালাল।

বিজয় তুমি

-ফরিদ আহমেদ হৃদয়

বিজয় তুমি মুক্ত একটি পাখি

গগন তলে করছ ডাকাডাকি।

বিজয় তুমি গোলাপ জবা ফুল

শীতল জলের নদীর দুটি কুল।

বিজয় তুমি চাষির ফসল মাঠ

মাঠ জুড়ে ফলে ধান, গম আর পাট।

বিজয় তুমি লাল-সবুজ পতাকা

মুক্ত হাওয়ায় উড়ছ আঁকা বাঁকা।

বিজয় তুমি মায়ের মুখের হাসি

যেই হাসিকে সবাই ভালবাসি।

বিজয় তুমি একটি স্বাধীন দেশ

নামটি হলো সোনার বাংলাদেশ।

ষোলই ডিসেম্বরে

-হোসেন মোতালেব

একটি পাখি বাসার আশে

করছে উড়াউড়ি

এ বন থেকে ঐ বনেতে

করছে ঘুরাঘুরি।

অবশেষে বাঁধল বাসা

দীর্ঘ ন’মাস পরে

সেই পাখিটা তুলল ছানা

ষোলই ডিসেম্বরে।

সেই ছানাটি জানান দিল

বিশ্ববাসী শোন

বাংগালী এক বীরের জাতি

নয়তো ভিত কোন।

লক্ষ ভাইয়ের রক্তে কেনা

সবুজ বরণ পাখি

বিশ্ব সভায় সেই পাখিটা

করছে ডাকাডাকি।

সেই পাখিটা দেয় পরিচয়

বাংলাদেশের নামে

কেনা হল সেই পাখিটা

লক্ষ প্রাণের দামে।

মানুষ ওজন

-মেজু আহমেদ খান

টাকা ছাড়া হয় না কি ভাই মানুষ ওজন।

টাকাটা তো ক্ষণস্থায়ী সে-ই কি স্বজন?

টাকা ছাড়াও মানুষ ওজন হয়

তাই টাকাটা আমার কাছে সবার আগেই নয়।

টাকা দিয়ে অনেক কিছুই যায় না কেনা ভাই

বিদ্যা বুদ্ধি মান ইজ্জত আর কাম্য অনেকটাই।

মহান বিজয়

বিজয় তুমি ১৬ই ডিসেম্বর, লাখ শহীদের রক্ত মাখা প্রাণ—

বিজয় তুমি শাশ্বত বাংলার সোনালী ফসল-সরষে ফুলের ঘ্রাণ।

বিজয় তুমি সুন্দর বনের চিত্রাহরিণ আর দোয়েল,শ্যামা,টিয়া—

বিজয় তুমি উত্তাল সমুদ্র ঘেরা, সেন্ট মার্টিন-কুতুবদিয়া।

বিজয় তুমি শীতের সকালে শিশির ভেজা ঘাস,

বিজয় তুমি বিশ্বখ্যাত বাংলার সোনালী আঁশ।

বিজয় তুমি জেমসের সোনার বাংলা-আমি তোমায় ভালবাসি,

বিজয় তুমি হায়দার হোসেনের গণতন্ত্রের হাসি।

বিজয় তুমি লাখ শহীদের রক্তভেজা দান,

বিজয় তুমি লাখ বাঙালীর মুক্তি কামী প্রাণ।

বিজয় তুমি জর্জ হ্যারিসানের স্বপ্নের বাংলাদেশ—

বিজয় তুমি লজ্জাবতী পল্লী তরুনীর মেঘবরন কেশ।

বিজয় তুমি বিশ্ব মানচিত্রে নতুন একটা দেশ—

বিজয় তুমি ছিনিয়ে এনেছ সোনার বাংলাদেশ।।

মহান বিজয় দিবস

– আবু জাফর বিঃ

মহান বিজয় দিবস ১৬ডিসেম্বর, জাতির অহঙ্কার,

এ বিজয়কে রাখবো সমুন্নত এই হোক অঙ্গিকার।

একাত্তরে সাড়ে সাতকোটি বাঙালি হয়েছিল ঐক্যবদ্ধ,

২৬ মার্চ থেকে শুরু হয় ৯মাস রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধ।

ত্রিশ লক্ষ শহীদের বুকের তাজা রক্ত, দিয়ে বিসর্জন,

অবশেষে হানাদার পাকিস্তানবাহিনী করল আত্মসমর্পণ।

সেদিন তারা বাঙালিদের কাছে করেছিল শীর অবনত,

বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠালাভ করেছিল, স্বাধীন সার্বভৌমত্ব।

মুক্তিকামী জনতা প্রায় খালি হাতে, দাঁড়িয়েছিল রুখে,

জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল পাষান বেঁধে বুকে।

যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা,

ভুলবো না সেই দুঃসাহসী বীরত্বপূর্ণ মুক্তিযোদ্ধাদের কথা।

জীবন উৎসর্গ করে উপহার দিয়েছে লাল-সবুজের পতাকা,

এনেছে ৫৬হাজার বর্গ মাইলের স্বাধীন বাংলার সীমারেখা।

মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের জনগণ;

৪৫বছর পরেও কি করতে পেরেছি তাদের স্বপ্ন পূরণ?

দুর হয়নি বৈষম্য বিভাজন, আসেনি অর্থনৈতিক মুক্তি,

রুখতে হবে সকল বঞ্চনা, সৃষ্টি করতে হবে গণশক্তি।

লাখো শহীদের আত্মত্যাগে অর্জিত আজকের এই বিজয়,

সকলে মিলে গড়বো দেশ, মানবো না কোনো পরাজয়।

★ লাল সবুজের স্মৃতি ঘেড়া নিশান আমার উড়ে।

 কিনেছিলাম রক্ত দিয়ে বিজয় ডিসেম্বরে।

 মাগো তোমার চোখের জলে,

 জয় বাংলা ধ্বনি তুলে,

 হাজার ছেলে প্রাণ দিল ঐ নতুন আশার ভোরে।

 রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।

  মাগো তুমি হায়েনা ভয়ে কাঁদছ দেখে তাই।

 তোমার ছেলে ঘর ছেড়েছে তোমায় দিতে ঠাঁই

 বিশ্বমাঝে উচ্চাসনে,

 পাক বাহিনীর নির্যাতনে,

 আর হবেনা শোষন এবার তোমার আপন ঘরে।

 রক্ত দিয়ে কেনা এই বিজয় ডিসেম্বরে।

বিজয় দিবস স্ট্যাটাস ২০২৪

বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে সুন্দর একটি স্ট্যাটাস সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রদান করতে চাইলে আমাদের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে পারেন সুন্দর একটি স্ট্যাটাস। মূলত সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে আমরা আমাদের বিজয় দিবসের স্ট্যাটাস নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য সুন্দর কিছু বিজয় দিবসের স্ট্যাটাস নির্বাচন করে আপনাদের মাঝে প্রকাশ করছি বিজয়ের চেতনা ধারণে এমন স্ট্যাটাস সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করার মাধ্যমে আপনার সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধুদের বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা জানাতে পারেন।

বিজয় আমাকে পথ দেখিয়েছে,
দিয়েছে বাচাঁর আশ্বাস।
আমি বিজয়ের গান গাই ,
=> আমি স্বাধীনতা কে চাই।
আমি বিজয়ের পতাকা ধরে,
সারাটি পথ পাড়ি দিতে চাই।
=> মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ⇐

আপনার সম্মান তখন বাড়বে।
যখন বিদেশে গিয়ে আপনি নিজের দেশের সম্মান বাড়াতে পারবে।
আর গর্বিতভাবে বলতে পারবেন, আমি বাংলাদেশী।

আমরা লক্ষ কন্ঠে সোনার বাংলায় খুঁজে পাই প্রাণের আশা,
তাই প্রশ্নবিদ্ধ স্বাধীনতাকে উত্তরই মেলাবার আজই তো সময়-
সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।

♦ একটি বাংলাদেশ তুমি… জনতারঅহঙ্কার,
সারা বিশ্বের বিস্ময় তুমি আমারঅহংকার।
সারা বিশ্বের বিস্ময়!
এই-বাংলাদেশের জন্য,
আসুন আমরা সবাইমিলে কাজ করি।

♦ ১৬ই ডিসেম্বর তুমি বাঙালির অহংকার।
তুমি কোটি জনতার বিজয় নিশান,
স্বাধীন বাংলার স্বাক্ষর।

♦ ♦ ♦ বিজয় মানে একটি লাল পতাকা,
=> বিজয় মানে একটি মানচিত্র,
বিজয় মানে গৌরব,
বিজয় মানে আনন্দ বিজয় উল্লাস.
স্বাধীনতার ৫২তম উদযাপন উপলক্ষে
সবাইকে জানাই বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ২০২২। ♦ ♦ ♦

  • বাংলাদেশের মহান বিজয় দিবসে আমরা অনেকেই শহীদদের স্বরনে বা বিজয় উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়ায় পোষ্ট করে থাকি।
  • সেই পোষ্ট করার পূর্বে আপনাকে লক্ষ্য রাখতে হবে আপনি যেন স্বাধীনতার জন্য আত্মত্যগীদের কথা ভুলে না যান। তাদের কথা স্মরণ করে, আপনারা নিচের কথা গুলা লিখে পোষ্ট করতে পারেন।
  • বিজয় মানে একটি লাল সবুজের পতাকা, বিজয় মানে একটি গর্বিত জাতি, বিজয় মানে অস্তিত্ব বাংলাদেশ, আর বিজয় মানিকের লাল-টুকটুকে মানচিত্র।
  • মহান বিজয় দিবসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আমি সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
  • আপনার বা আপনার পরিবারের অসম্মানে আপনার যতটা কষ্ট হবে। তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট এবং রাগ হবে আপনার দেশের অসম্মান হলে।
  • তাই সর্বদা দেশকে সম্মান করুন এবং দেশের সম্মান রক্ষায় ব্রতী থাকুন। সবাইকে বিজয় দিবস উপলক্ষে লাল সবুজের শুভেচ্ছা।
  • স্বাধীনতার স্বপক্ষে যুগে যুগে অনেক স্লোগান দেওয়া হয়েছে তবে দেশের মহান ব্যক্তিত্বদের কাছ থেকে পাওয়া উক্তি গুলি এখনো অনেক বেশি কার্যকর এবং অনেক বেশি উদ্বুদ্ধ করে থাকে তরুণ প্রজন্মকে।
  • স্বাধীনতার চেতনা তরুণ প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ উদ্বুদ্ধ করতে হলে অবশ্যই অবশ্যই তাদেরকে ঐ সমস্ত কথাগুলো শেয়ার করুন যেগুলোতে তাদের দেশপ্রেম জাগ্রত হবে।
  • ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ২০২২ উপলক্ষ্যে আপনি নিম্নোক্ত বিজয় দিবসের উক্তি গুলো ব্যবহার করতে পারেন।
  • ১টি যুদ্ধ, ৯টি মাস, ৭জন বীরশ্রেষ্ঠ, ১টি দেশ। সকলকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
  • লাল এর মাঝে ভালবাসা। সাদা এর মাঝে বন্ধুত্ব। নীল এর মাঝে কষ্ট। কালো এর মাঝে অন্ধকার। আর সবুজের মাঝে আমার বাংলাদেশ।
  • বিজয় মানে একটা মানচিত্র, বিজয় মানে লাল সবুজের পতাকা, বিজয় মানে একটা গর্বিত জাতি, বিজয় মানে অস্তিত্বে বাংলাদেশ। বিজয়ের ৫০ বছর পূর্তিতে এই গর্বিত জাতি গড়ার সকল কারিগরকে মন থেকে জানাই শুভেচ্ছা।
  • প্রশ্নবিদ্ধ স্বাধীনতাকে উত্তরে মেলাবার আজই তো সময়, লক্ষ কন্ঠে সোনার বাংলায় খুঁজে পাই প্রাণের আস্বাদ। সবাইকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
  • আপনার সম্মান তখন বাড়বে। যখন বিদেশে গিয়ে আপনি নিজের দেশের সম্মান বাড়াতে পারবে। আর গর্বিতভাবে বলতে পারবেন, আমি বাংলাদেশী।
  • আপনার বা আপনার পরিবারের অসম্মানে আপনার যতটা কষ্ট হবে। তার চেয়ে অনেক বেশি কষ্ট এবং রাগ হবে আপনার দেশের অসম্মান হলে। তাই সর্বদা দেশকে সম্মান করুন এবং দেশের সম্মান রক্ষায় ব্রতী থাকুন। সবাইকে বিজয় দিবস উপলক্ষে লাল সবুজের শুভেচ্ছা।
  • আসুন আজ আমরা সবাই প্রতিজ্ঞা করি যে, আমরা সব অন্যায় এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করব, সবাইকে আমাদের দেশের মহত্ত্ব বোঝাব, সঠিক অর্থে আমরা একজন বাংলাদেশী হয়ে উঠব। শুভ জন্মদিন বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button