৬ষ্ঠ সাপ্তাহর অ্যাসাইনমেন্টের সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ৬ষ্ঠ সাপ্তাহর ৮ম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা অ্যাসইনমেন্টের সমাধান করব। যদি আপনারা ৮ম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা অ্যাসইনমেন্টের এই উত্তর গুলাে অরুসরণ করেন তাহলে ১০০% মার্কস পাবেন। আরাে সকল সাপ্তাহর অ্যাসাইনমেন্টে পেতে আমাদের সাথে থাকবেন আশা করি।
প্রশ্ন:
৬ষ্ঠ সাপ্তাহর ৮ম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা অ্যাসইনমেন্টের সমাধান করব
1.ক) মিনারা বেগম পুকুরে কি পরিমাণ ইউরিয়া সার প্রয়ােগ করেছিলেন?
উত্তর : সখিপুর গ্রামের মিনারা বেগমের ৫ শতাংশ জমি। তিনি সেখানে কয়েক প্রজাতির মাছ চাষের উদ্যোগ নেন। এজন্য তিনি মাছ চাষের জন্য যে পরিমাণ ইউরিয়া সার প্রয়ােগ করেছিল তা নিম্নে বর্ণনা করা হলাে:
দেওয়া আছে,
মিনারা বেগমের পুকুর ৫ শতকের। আমরা জানি,
মাছ চাষে প্রতি শতকে ইউরিয়া দিতে হয় = ১০০ – ১৫০ গ্রাম
সুতরাং আমরা বলতে পারি,
১ শতকে ইউরিয়া দিতে হয় = ১০০ – ১৫০ গ্রাম
: ৫ শতকে ইউরিয়া দিতে হয় = (১০০ -১৫০) x ৫ গ্রাম
= ৫০০ – ৭৫০ গ্রাম
= ০.৫ -০.৭৫ কেজি
সুতরাং বলা যায়, মিনারা বেগম ০.৫ – ০.৭৫ কেজি সার প্রয়ােগ করেছিলাে।
1.খ) মিনারা বেগমের উদ্যোগটি মূল্যায়ন কর।
উত্তর : মিনারা বেগমের উদ্যোগটি মিশ্র মাছ চাষ পদ্ধতি। নিম্নে এ উদ্যোগটির মূল্যায়ন করা হলাে: উদ্দীপকের মিনারা বেগম একই পুকুরে বিভিন্ন মাছ চাষ করার উদ্যোগ নেন।
যেমন: সিলভার কার্প, রুই, কাতলা ও কার্পিও ইত্যাদি। তাছাড়াও যে সব প্রজাতির মাছ রাক্ষুসে স্বভাবের নয়, খাদ্য নিয়ে প্রতিযােগিতা করে না, জলাশয়ের বিভিন্ন স্তরের খাবার গ্রহণ করে, এসব গুণের কয়েক প্রজাতির মাছ একই পুকুরের মধ্যে একত্রে চাষ করাকে মূলত মিশ্র মাছ চাষ পদ্ধতি বলে।
এছাড়াও তিনি পুকুর প্রস্তুত করার জন্য নিম্নলিখিত ধাপ অনুসরণ করেন:
• চুন প্রয়ােগ: পুকুরে তিনি চুন প্রয়ােগ করার মাধ্যমে পুকুরের পানি জীবাণু মুক্ত করে এবং পানির ঘােলাটে অবস্থা দূর করে।
• সার প্রয়ােগ: পুকুরের প্রাকৃতিক খাদ্যের জন্য তিনি সার প্রয়ােগ করেছেন।
এছাড়াও মৎস্য কর্মকর্তার সাথে পরামর্শ করার মাধ্যমে তিনি বিভিন্ন | পদ্ধতি অবলম্বন করেছেন। উপরিউক্ত বিষয়গুলাে পর্যালােচনা করলে
বােঝা যায় যে, মিনারা বেগমের উদ্যোগটি ছিল মিশ্র মাছ চাষ পদ্ধতি।
২। পলিব্যাগে চারা তৈরী সুবিধাজনক কেন? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর :যে নার্সারিতে পলিব্যাগে চারা উৎপাদন করা হয়ে থাকে সেই নার্সারিকে পলিব্যাগ নার্সারি বলে।বিভিন্ন ধরনের ফল ও বনজ গাছের চারা উৎপাদনের জন্য সরাসরি বীজ অথবা অঙ্কুরিত বীজ পলিব্যাগে বপন করা যায়। পলিব্যাগ নার্সারিতে চারা উৎপাদনের অনেক সুবিধা রয়েছে।
নিম্নে সেই সুবিধাগুলাে সম্পর্কে আলােচনা করা হলাে:
(১) হালকা ও সহজেই পরিবহন করা যায়।
(২) পলিব্যাগের চারা রােপণ করা সহজ ও চারার মৃত্যুহার কম।
(৩) পলিব্যাগ উৎপাদিত চারার পরিচর্যা করা সহজ এবং পরিবহনে
(৪) যে কোনাে মাপের এবং ঘনত্বের তৈরি করা যায়।
(৫) মজবুত ও দীর্ঘস্থায়ী হয়। সুতরাং বলা যায়, পলিব্যাগে চারা তৈরী অনেক সুবিধাজনক।
আপনাদের ৮ম শ্রেণির কৃষিশিক্ষা অ্যাসাইনমেন্টের ৬ষ্ঠ সাপ্তাহর উত্তর।এটা দেখে দেখে সুন্দর করে খাতায় লেখেবেন। তাহলে আপনি ভাল একটা মার্কস্ পাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।