শিক্ষা ও জীবন

Class 7 Home Science Assignment Answer 6th Week ৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান ৬ষ্ঠ সপ্তাহ

৬ষ্ঠ সাপ্তাহর অ্যাসাইনমেন্টের সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ৬ষ্ঠ সাপ্তাহর ৭ম শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসইনমেন্টের সমাধান করব। যদি আপনারা ৭ম  শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসইনমেন্টের এই উত্তর গুলাে অরুসরণ করেন তাহলে ১০০% মার্কস পাবেন। আরাে সকল সাপ্তাহর অ্যাসাইনমেন্টে পেতে আমাদের থাকবেন সাথে আশা করি।

প্রশ্ন:

৬ষ্ঠ সাপ্তাহর ৭ম  শ্রেণির গার্হস্থ্য বিজ্ঞান অ্যাসইনমেন্টের সমাধান করব


১, প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আমরা কীভাবে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি-তা পাঠ্যপুস্তকের আলােকে লিখ।

১ নং প্রশ্নের উত্তর: প্রতিবন্ধী শিশুদের প্রতি আমরা কিভাবে আমাদের দায়িত্ব পালন করতে পারি তা পাঠ্য পুস্তকের আলােকে লিখার চেষ্টা করলাম  প্রতিবন্ধকতার ধরণ অনুযায়ী আমাদের অবশ্যই তাকে বিশেষ শিক্ষা দেওয়ার প্রয়ােজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তাদের সাথে সৌহাদ্যপূর্ণ আচরণ করতে হবে।  আমরা যদি প্রতিবন্ধী শিশুটির আত্মীয়, প্রতিবেশী, সহপাঠী কিংবা সমবয়সী হিই তবে আমরাও উদ্দীপনা প্রদানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারি।

এক্ষেত্রে আমরা যা যা করতে পারি।

যে কোন সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রতিবন্ধী শিশুটিকে সঙ্গ দেওয়া, দেখাশােনার দায়িত্ব আমরা নিজেরাই নিতে পারবাে।

আমরা প্রতিবন্ধীর ধরন অনুযায়ী খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে পারি। যেমন দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের গল্প শােনাকে শ্রবণ প্রতিবন্ধীদের সাথে দাবা খেলা ইত্যাদি।

এলাকার কোন প্রতিবন্ধী দরিদ্র হলে আমরা তার জন্য আর্থিক সহযােগিতার উদ্দ্যোগ নিতে পারি।

ছােট শিশুরা প্রতিবন্ধী শিশুকে ভয় পায়। তার এই ভয় দূর করার জন্য আমরা ভূমিকা পালন করতে। পারি। প্রতিবন্ধী শিশুটির অসুবিধাগুলাে ঠিকভাবে বুঝিয়ে দিলে ঐ স্বাভাবিক শিশুটিও প্রতিবন্ধী শিশুটির ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও সাহায্যকারী হয়ে উঠতে পারবে।

প্রতিবন্ধী শিশুটির প্রতি ইতিবাচক মনােভাব নিয়ে নানাভাবে তার সাহায্যে এগিয়ে আসতে পারি।

 

 

২, প্রতিবেদন তৈরি: কোভিড ১৯ মােকাবিলায় কোন কোন খাদ্য গােষ্ঠী হতে খাবার আমাদের তালিকায় প্রাধান্য পাবে তা বিবেচনা করে তােমার পরিবারের উপযােগী ৭ দিনের একটি তালিকা তৈরি কর।

২নং প্রশ্নের উত্তর: কোভিড ১৯ মােকাবিলায় আমার পরিবারের ৭ দিনের খাদ্য তালিকাশনিবার সকাল- লেবু ও মধু দিয়ে গরম পানি, ডিম সিদ্ধ, রুটি। দুপুরে- প্রােটিনযুক্ত খাবার ভাত শাক সবজি। রাতে- ভাত/রুটি, মাছ, দুধ।

রবিবার
সকাল- লেবু ও মধু দিয়ে গরম পানি, ডিম সিদ্ধ। দুপুরে মাছ/মাংস, সবজি বেশি ভাত পরিমাণে কম রাত- ভাত/রুটি, মাংস, ডাল, দুধ।

সােমবার
সকাল- গরম পানি, ডিম, রুটি, সবজি। | দুপুর- ভাত, ডাল, শাক সবজি, লেবু | রাত- রুটি সবজি, গরম দুধ।

মঙ্গলবার
সকাল-সবজি, ভাত, পেয়ারা/অপেল। | দুপুর- ভাত, ডাল, মাছ, মাংস, লেবু। রাত- রুটি, সবজি, দুধ।

বুধবার
সকাল- ডিম, রুটি, চা। দুপুর- ভাত, শাক-সবজি, লেবু। | রাত- রুটি/ভাত, মাংস, দুধ।

বৃহস্পতিবার
সকাল-সবজি, খিচুরি, ডিম দুপুর- ভাত, শাক-সবজি, ডাল | রাত- রুটি, মাংস, দুধ।

শুক্রবার
সকাল- রুটি, ড্রিম গরম পানি দুপুর- ভাত মাছ সবজি, লেবু রাত- রুটি/ভাত, মাছ, দুধ। উপরােক্ত খাবারের পাশাপাশি ঋতুকালীন বিভিন্ন ফলমূল ও ভিটামিন ‘সি’ সমৃদ্ধ খাবার খেয়েছি।
বিশেষ করে লেবুর পরিমাণ বেশি ছিল। আদা, গােলমরিচ, লবঙ্গ ইত্যাদি দিয়ে গরম পানি ফুটিয়ে বার বার খাওয়া হয়েছে।

৩। ক, ব্যক্তিত্বের সাথে পােশাকের ডিজাইনের সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত? ব্যাখ্যা কর।

৩ নং প্রশ্নের “ক” এর উত্তর:

ব্যক্তিত্বের সাথে পােশাকের সম্পর্ক ব্যক্তির নিজস্ব বৈশিষ্ট্য বা আচরণই হলাে তার ব্যক্তিত্ব। ব্যক্তিত্বের সাথে পােশাকের একটি সুনিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। সুন্দর পােশাক রুটিশীল মনের পরিচয় দেয়। এবং ব্যক্তির আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তােলে। কাজেই দেখা যায় যে, পােশাক ও ব্যক্তিত্ব এ দুটি একে অন্যের পরিপূরক। পােশাক মানানসই হয় ব্যক্তির গায়ের রং উচ্চতা ওজন দেহের গঠন, বয়স মুখের আকৃতি ইত্যাদির দ্বারা এছাড়াও যে বিষয়গুলাে দেখা হয় সেগুলাে হলাে।

পােশাকের ছাপ: বড় বা ছােট ছাপা ব্যকিত্বের উপর প্রভাব ফেলে। বড় বড় ছাপায় থুলকয় ব্যক্তিকে আরও সৃথুল দেখায়।
তাই খর্বাকার বা স্থূল ব্যক্তির জন্য ছােট ছাপার জামা উপযুক্ত।

পােশাকের রং: পােশাকের জন্য উপযুক্ত রং নির্বাচন করেও আমরা দেহের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলতে পারবাে।
দেহের ত্বক, চুল ও চোখের রঙের সাথে মিল রেখে পােশাকের রং নির্বাচন করা উচিত যেমন শ্যালা রঙের ব্যক্তিদের হালকা রঙে ভালাে লাগে। লম্বা এবং আড়াআড়ি রেখার পােশাক চেক ও স্ট্রাইপ কাপড় নির্বাচনের ক্ষেত্রেও আমাদের সর্তখ থাকতে হবে।
কারণ লম্বা বা খাড়া রেখার পােশাক ব্যক্তির দেহ কাঠামােকে বাহ্যিক দৃষ্টিতে বড় করে তােলে।

পােশাকের আকার: পােশাকের আকারের তারতম্য করেও দেহাকৃতির ওপর প্রভাব ফেলা যায়। পাতলা ব্যক্তির জন্য ঢিলেঢালা ফুলহাতা, ছােট গলার পােশাক বিশেষ উপযােগী। সমাজের রীতিনীতি ব্যক্তিত্বকে আকর্ষণীয় করার জন্যই অবশ্যই সমাজের রীতিনীতির দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সমাজের কাছে গ্রহণযােগ্য নয় এমন ধরনের পােশাক পরিধান না করাই ভালাে।

মন্তব্য : সর্বোপরি পােশাক পরিচ্ছদ সাজ সজ্জা অলংকার ইত্যাদি সামগ্রী উপলক্ষ নিজের সামর্থ্য ও অনুষ্ঠানের ভঅরধারার প্রতি লক্ষ রেখে পরিধান করলে আত্মতৃপ্তির পাশাপাশি ব্যক্তিত্বও সবার কাছে প্রশংসিত হয়।

 

৩। খ, কাপড়ের মাড় দিতে হয় কেন? মাড় প্রয়ােগের ৫টি নিয়ম লিখ।

৩নং প্রশ্নের “খ” এর উত্তর: কাপড়ে মাড় দেওয়া কারণ অপরিচ্ছন্ন পােশাকের দাগ তােলা ও ধৌতকরনের পরবর্তী পর্যায়ের কাজ হলাে কাপড়ে কিছুটা কাঠিন্য ও । চকচকে ভাব আনার জন্য যেগুলাে ব্যবহার করা হয় সেগুলাে হলাে ভাতের মাড়, ময়দা, এরারুটি, বার্লি, গঁদের কলপ প্রভৃতি। মাড় দেওয়ার ফলে,

পােশাকের চাকচিক্য ও উজ্জল্য বৃদ্ধি পায়।

পরিমাণ মত সঠিক নিয়মে মাড় দিলে ধােয়া নরম পােশাকে কাঠিন্য ও নতুনত্ব ফিরে আসে।

পােশাকের আরাম, সৌন্দর্য ও পরিপট্য বাড়ায়।

কাপড়ে মাড় প্রয়ােগের ৫টি নিয়ম।

1. পােশাক ব্যবহারের পূর্বে মাড় পাতন্ন কাপড় বা ছাকনি দিয়ে হেঁকে ব্যবহার করতে হবে।
2. পােশাক উল্টো করে মাড়ে ভিজাতে হবে।
3. ভারী পােশাকে হালকা এবং পাতলা পােশাকে ঘন মাড় দিতে হবে।
4. কালাে ও সাদা পােশাকের ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানিতে নীল গুলে পুরাে মাড়ে মিশিয়ে তারপর কাপড়ে দিতে হবে।
5. মাড় প্রয়ােগের পর পােশাকটি শুকিয়ে নিতে হবে। অথবা কাপড়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হবে।

 

৩। গ, পশমি বস্ত্র ধৌতকরণে তুমি কী ধরণের সর্তকতা অবলম্বন করবে।

৩নং প্রশ্নের “গ” এর উত্তর: পশমি কাপড় ধৌতকরণে সর্তকতার: পশমি কাপড় ধােয়ার সময় নিম্নলিখিত সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

কখনাে খুব গরম বা খুব ঠান্ডা পানি ব্যবহার করা যাবেনা।
অতিরিক্ত ক্ষার জাতীয় সাবান বা পাউডারের গুড়া ব্যবহার করা যাবেনা।
কখনাে ঘষে ময়লা পরিষ্কার করা যাবেনা।
ভেজা অবস্থায় বেশিক্ষণ ফেলে রাখা যাবে না।
মােচড়িয়ে পানি নিংড়ানাে যাবেনা। এতে তন্তুগুলাে ছিড়ে যেতে পারে।
সূর্যালােক বা অতিরিক্ত গরম স্থানে শুকাতে দেওয়া যাবেনা।

 

 

আপনাদের ৭ম শ্রেণির  গার্হস্থ্য বিজ্ঞান  অ্যাসাইনমেন্টের ৬ষ্ঠ সাপ্তাহর উত্তর।এটা দেখে দেখে সুন্দর করে খাতায় লেখেবেন। তাহলে আপনি ভাল একটা মার্কস্ পাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button