৮ম শ্রেণির এ্যাসাইনমেন্ট 2022 || বাংলা || bangla assignment-2022

৬ষ্ঠ সাপ্তাহর অ্যাসাইনমেন্টের সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ৬ষ্ঠ সাপ্তাহর ৮ম শ্রেণির বাংলা অ্যাসইনমেন্টের সমাধান করব। যদি আপনারা ৮ম শ্রেণির বাংলা অ্যাসইনমেন্টের এই উত্তর গুলাে অরুসরণ করেন তাহলে ১০০% মার্কস পাবেন। আরাে সকল সাপ্তাহর অ্যাসাইনমেন্টে পেতে আমাদের সাথে থাকবেন আশা করি।
প্রশ্ন:
প্রশ্নঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি, আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ | মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য যে সব যুক্তি তুলে ধরেছেন সেগুলাে | সাজিয়ে লিখ।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙ্গালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য ৭ই মার্চের ভাষণে যেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন। সেগুলাের বনর্না দেওয়া হলােঃ
বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলাে এর সার্বজনীনতা এবং মানবিকতা। যে-কোনাে নিপীড়িত জনগােষ্ঠীর জন্য এই ভাষণ সব সময়ই আবেদন সৃষ্টিকারী। এই ভাষণে গণতন্ত্র, আত্মনিয়ন্ত্রণ, স্বাধিকার, মানবতা এবং সব মানুষের কথা বলা হয়েছে। ফলে এই ভাষণ দেশ-কালের গণ্ডি ছাড়িয়ে সাবর্জনীন হয়েছে। আর একজন মানুষ একটি অলিখিত বক্তৃতা দিয়েছেন, যেখানে স্বল্প সময়ে কোনাে পুনরুক্তি ছাড়াই একটি জাতির স্বপ্ন , সংগ্রাম আর ভবিষ্যতের দিক নিদের্শনা দিয়েছেন। তিনি বিশ্বাসের জায়গা থেকে কথা বলেছেন। সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযােগ্য ভাষায় কথা বলেছেন। সবচেয়ে বড় কথা, বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের চাওয়া-পাওয়া বুঝতে পেরেছেন। তাঁরা যা চেয়েছেন, বঙ্গবন্ধু তা-ই তাঁদের কাছে তুলে ধরেছেন। ফলে এই ভাষণটি একটি জাতির প্রত্যাশার আয়নায় পরিণত হয়। এই ভাষণই একটি জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছে। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও এই ভাষণ প্রেরণা জুগিয়েছে। আর এতবছর পরও মানুষ তাঁর ভাষণ স্তব্ধ হয়ে শােনে।
বঙ্গবন্ধুরর ৭ মার্চের ভাষণের বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে আর সেগুলাে হলাে:
১.বাঙালির সংগ্রাম ঐহিত্য এবং বঞ্চনার ইতিহাস,
২. গণতান্ত্রিক চেতনা,
৩. আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার,
৪. শান্তির বাণী,
৫. মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং
৬. আক্রান্ত হলে প্রতিরােধ।
এই একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু একটি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছেন। কিন্তু তা সহিংস নয়। তিনি শান্তিপূর্ণ আলােচনার কথা বলেছেন। অসহযােগের কথা বলেছেন, আবার সবাইকে মাসের এক তারিখ গিয়ে বেতন আনতে বলেছেন।
তাঁর এই একটি বক্তৃতা একটি জাতিকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উজ্জীবিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। আক্রান্ত হওয়ার আগ পর্যন্ত প্রতিরােধ সংগ্রাম হয়নি। এই একটি ভাষণেই পুরাে দিক | নিদের্শনা ছিল। তিনি যে আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকারে কথা বলেছেন এটা।
সারাবিশ্বের সব মানুষের অধিকার। তাই সারবিশ্বের নিপীড়িত মানুষের কথা, স্বাধীনতা-বঞ্চিত মানুষের কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধু তাঁর ভাষণে বলেছেন, “আমরা সংখ্যায় মেজরিটি, কিন্তু একজন মানুষও যদি ন্যায্য কথা বলে আমরা তা মেনে নেবাে।”- এরচেয়ে আর বড় কোনাে গণতান্ত্রিক মূল্যবােধ হতে পারে না। তিনি বলেছেন, এই বাংলায় হিন্দু। বা মুসলমান, বাঙালি বা অবাঙালি সকলেই এ দেশের সন্তান, তাদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব হলাে জনগণের। তিনি পার্টির নেতা-কর্মীদের বলেছেন আমাদের যেন বদনাম না হয়। স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ যুক্তি হলাে কোনাে জাতিকে তার আত্মনিয়ন্ত্রণ এবং স্বাধিকার থেকে বঞ্চিত করা যায় না। বন্দুকের নল বা অস্ত্রের মুখে ‘দাবায়ে রাখা যায় না। এটাই বিশ্বজনীন সত্য।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা অর্জন করি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। একটি ভাষণ কীভাবে গােটা জাতিকে জাগিয়ে তােলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার অনন্য উদাহরণ।
আপনাদের ৮ম শ্রেণির বাংলা অ্যাসাইনমেন্টের ৬ষ্ঠ সাপ্তাহর উত্তর।এটা দেখে দেখে সুন্দর করে খাতায় লেখেবেন। তাহলে আপনি ভাল একটা মার্কস্ পাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।