৬ষ্ঠ সাপ্তাহর অ্যাসাইনমেন্টের সিলেবাস প্রকাশ করা হয়েছে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা ৬ষ্ঠ সাপ্তাহর নবম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসইনমেন্টের সমাধান করব। যদি আপনারা নবম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসইনমেন্টের এই উত্তর গুলাে অরুসরণ করেন তাহলে ১০০% মার্কস পাবেন। আরাে সকল সাপ্তাহর অ্যাসাইনমেন্টে পেতে আমাদের থাকবেন সাথে আশা করি।
প্রশ্ন:
৬ষ্ঠ সাপ্তাহর ৯ম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসইনমেন্টের সমাধান করব
(ক) ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু কাকে বলে?
উত্তর: ক্রান্তীয় অঞ্চলে যেই ঋতু গুলাে বিরাজমান করে অথবা প্রবাহিত হয়, সেই ঋতুকেই ক্রান্তীয় মৌসুমি জলবায়ু বলা হয়।
(খ) বাংলাদেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজের কারণ কী? ব্যাখ্যা কর।
উত্তর: বাংলাদেশের মধ্যভাগ দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা অতিক্রম করায় দেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজ করে। ব্যাখ্যা: বাংলাদেশের জলবায়ু সাধারণত সমভাবাপন্ন। বাংলাদেশ এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণাংশে অবস্থিত হলেও মহাদেশীয়-অক্ষাংশীয় অবস্থানের দিক থেকে এটি উত্তর অক্ষে অবস্থিত।
অক্ষাংশীয় মানানুসারে এদেশের অবস্থান ২০ডি, ৩৪মি. উত্তর অক্ষরেখা হতে ২৬ডি, ৩৮মি. উত্তর অক্ষরেখার এবং দ্রাঘিমাংশীয় মানানুসারে ৮৮ডি, ০১মি. পূর্ব দ্রঘিমারেখা হতে ৯২ডি, ৪১মি. পূর্ব দ্রঘিমারেখার মধ্যবর্তী স্থানে। কর্কটক্রান্তি রেখা এদেশের ঠিক মধ্যভাগ দিয়ে অতিক্রম করেছে তাই বাংলাদেশে ক্রান্তীয় মৌসুমী জলবায়ু বিরাজ করে।
(গ) উদ্দীপকের “z” অঞ্চলের বর্ণনা দাও।
উত্তর: উদ্দীপকে ‘7’ অঞ্চল অর্থাৎ’পলিবাহিত মাটি দ্বারা গঠিত অঞ্চল। দেশের প্রায় ৮০ ভাগ অঞ্চল পলিমাটি দ্বারা গঠিত অঞ্চল। পলি মাটি হালকা এবং আর্দ্রতাযুক্ত উর্বর মৃত্তিকা। পলি মাটি মাঝারি আকারের কণাসম্পন্ন এবং এই মাটি বেশ শুকনাে হয় ও আর্দ্রতা ভালভাবে ধরে রাখতে পারে। এই । মাটির কণাগুলি সহজেই মিশে যেতে পারে এবং বৃষ্টির সাথে ধুয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।
নদী বাহিত পলি থেকে এই মাটির সৃষ্টি হয়েছে। পলিমাটি খুব উর্বর হয়। এই মাটিতে পটাশ, ফসফেরিক অ্যাসিড, চুন ইত্যাদি থাকে। পলিমাটি উর্বর হওয়ার জন্য এই মাটিতে প্রায় সব রকমের ফসল চাষ হয়।
ঘ) উদ্দীপকের x’ ও ‘Y’অঞ্চলের ভূমিরূপের মধ্যে কী কী সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য পরিলক্ষিত হয়? মতামত দাও:
উত্তরঃ উদ্দীপকের x ও y অঞ্চলের ভূমির সাদৃশ্য নিম্নরূপ: X অঞ্চলের ভূমির ক্ষেত্রে প্রধান নদীর আশেপাশে এবং নিকটবর্তী এলাকায় যেখানে বার্ষিক প্লাবনের সময় কালে নদীর গতি পরিবর্তনের ফলে পলি সঞ্চয়ন এবং ক্ষয় সংঘটিত হয়ে থাকে, সে সমস্ত এলাকা জুড়ে সক্রিয় প্লাবন সমভূমি। এই প্লাবন সমভূমি তে নতুন নতুন সঞ্চিত পলি রাশি বিভিন্ন স্তরে স্তরে স্তরীভূত হয়ে থাকে সাধারণত সূক্ষম পলি এবং কর্দম সঞ্চয়ন মিহি স্তরে স্তরীভূত হয় এবং বালি ও পলির মিশ্রণ স্তরে সজ্জিত হয়। এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে মাটি গঠনকারী প্রধান নদীখাত অন্যত্র সরে যাওয়ায় নবীন এবং প্রবীণ প্লাবন সমভূমি সমূহ মূলত স্থিতিশীল ভূমিতে পরিণত হয়েছে। পক্ষান্তরে Y অঞ্চলের ভূমির ক্ষেত্রে, সাধারণত ধূসর বর্ণের পৃষ্ঠ মৃত্তিকা এবং ধূসর ম্যাট্রিক্স ও ধূসর গ্লেন (glean) সমৃদ্ধ Cambic B অনুভূমিক স্তর বিশিষ্ট অন্তর্ভুত্তিকা দ্বারা গঠিত। এই মৃত্তিকা ব্যাপকভাবে তিস্তা, করােতােয়া, যমুনা মেঘনা ও সুরমা-কুশিয়ারা নদীগঠিত প্লাবন সমভূমি জুড়ে বিস্তৃত তবে পৃথক পৃথক মৃত্তিকার বুনট দ্বারা গঠিত মাটিতে বর্ণিত উপাদানসমূহের অনুপাত এর মধ্যে উল্লেখযােগ্য পরিমাণে আঞ্চলিক বিভিন্নতা দেখা যায়। তিস্তা নদীর সর্পিলাকৃতি প্লাবন। সমভূমির মৃত্তিকায় পলি, দোঁ -আঁশ বুনটের প্রাধান্য বিদ্যমান, অপরদিকে গাঙে জোয়ার ভাটা প্লাবন সমভূমি ও সুরমা-কুশিয়ারা প্লাবন সমভূমির মৃত্তিকায় পলি কর্দমের প্রাধান্য বিরাজমান। কিন্তু যমুনা প্লাবন সমভূমি তে রয়েছে দোআশ, পলি কর্দম দোআশ এবং পলি কর্দমের অধিক সমানুপাতিক বন্টন।
এসকল মৃত্তিকার বেশিরভাগই Eutricgleysol এর অন্তর্ভুক্ত।
আপনাদের ৯ম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ অ্যাসাইনমেন্টের ৬ষ্ঠ সাপ্তাহর উত্তর।এটা দেখে দেখে সুন্দর করে খাতায় লেখেবেন। তাহলে আপনি ভাল একটা মার্কস্ পাবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
Thanks you sir❤️